‘আঁধারে ঢেকে যাওয়া সমাজকে আলোকিত করতে ইকবাল হোসেন তাপস-কে প্রয়োজন’
নাসরিন ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কলম যোদ্ধাদের ক্ষূরধার লিখায় গর্জে ওঠে পৃথিবী আবার লেখার নির্মলতায় নিমেষেই কুলুকুলু তানে প্রশান্তি তে বয়ে চলে জনম।
পৃথিবীর সকল বিশৃঙ্খলা রোধে, নির্মল ধরণী আনয়নে কলম যোদ্ধাদের ভুমিকা অপরিহার্য। আর এই কলম যোদ্ধারা হলেন কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
একজন প্রকৃত লেখক তার লেখায় সুনিপুনভাবে যেমন মগজ ধোলাই দিতে পারে। তেমনি তাদের লেখায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিটি মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দাউ দাউ লেলিহান শিখা জ্বালাতে সক্ষম।
দলমত নির্বিশেষে বিবেক কে জাগ্রত করণের লক্ষ্যে প্রতি কলম যোদ্ধা কে আহ্বান জানাই নির্মল ধরণী গড়ার প্রশ্নে আমরা অন্যায়ের বিরূদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় একই সুরে হাতে হাত রেখে সমান তালে পায়ে পা ফেলে কদম এর কদম আসুন নিরন্তর হেঁটে যাই।
আর হ্যাঁ জনাব ইকবাল হোসেন তাপস তিনি যদিও ক্ষূরধার লেখার জগতের মানব নন। তবে তার মাঝে রয়েছে এই ঘুনেধরা সমাজ কে ঘুটঘুটে আঁধারে ঢেকে দেয়া বিবেক মুল্যবোধ, আলোতে নিয়ে আসার পাঁয়তারা।
তিনি জাপানে শিক্ষাকালীন শেষে দেশে ফিরে ১৯৯১ ইং সালে দেশের অর্থনীতি কে সমৃদ্ধশালী করনের লক্ষ্যে সর্বপ্রথম জাপানের প্রখ্যাত কোম্পানি ” মেইজি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড” কে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। দীর্ঘ ৭ বৎসর তিনি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে অত্যন্ত সুচারুরূপে দক্ষতার সহিত এ দেশের শতশত জনগনের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছিলেন।
পরবর্তী তে ১৯৯৭ ইং সালে ব্রিটিশ বিনিয়োগ কারীদের আমন্ত্রণ জানান এবং তার ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী চট্টগ্রামে এক্সপার্ট প্রোসেসিং জোন বা সিইপিজেড এলাকায় বিনিয়োগ করতে সম্মতি জানালে, সেখানে “ইন্টারকন্টিনেন্টাল টেকনোলজি লিমিটেড ” নামের যৌথভাবে একটি কোম্পানি চালু করেন তারা। সেখানেও দীর্ঘদিন ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুনামের সহিত।
পরবর্তী তে ইপিজেডে সম্পূর্ন বিদেশী বিনিয়োগে পৃথিবীর বিখ্যাত গাড়ী নিশান ডিজেল গাড়ীর বাস ও ট্রাকের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীক জীবনে পা রাখেন।
বর্তমানে তিনি জাপানিজ “ইযোকোহমা লেভেলস এন্ড প্রিন্টিং কোম্পানি লিমিটেড” নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠান টি জাপানের বিখ্যাত “ইতোচু কর্পোরেশন এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এখানে তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা সফলতার সহিত পরিচালনা ও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জনাব ইকবাল হোসেন তাপস এর উক্ত কার্যাবলী সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি তার বরিশাল ফরএভার লিভিং সোসাইটি ২২ এপ্রিল ২০২৩ ইং প্রকাশিত পত্রিকা হতে। বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে তিনি শত সহস্র মানব সন্তানের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ছিলো প্রত্যক্ষ- পরোক্ষভাবে তার ভাবনার এর মুল লক্ষ্য।
এভাবে আমরা তাঁর বিগত দিনের কার্যক্রম ও পথচলা কে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষন করলে সমাজ সংস্করণের মানসিকতা খুঁজে পাই। এমন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যারা প্রতিটিক্ষণ ভাবছেন সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে।
তাদের মহৎ কর্মের প্রশংসা করা যেমন দায়িত্ব। পাশাপাশি ভুল-ত্রুটি নিরূপন করে তুলে ধরার মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নেয়া প্রকৃত কলম যোদ্ধাদের মুল লক্ষ্য। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা অতীব জরুরী ভুল-ভ্রান্তি বের করার জন্য লেগে থাকা নয়। আবার অতিরিক্ত প্রশংসায় পথভ্রষ্ট হয়ে যেনো না পরে বিষয়গুলো ভেবে উজ্জীবিত করা কলম যোদ্ধাদের পবিত্র দায়িত্ব।
সুখে-দুঃখে পাড়া-পড়শী বন্ধু-বান্ধবদের বিপদে এগিয়ে এসে সহযোগিতা ও সমাধান এর প্রবল ইচ্ছে শক্তি তার মাঝে স্কুল জীবন হতেই বিদ্যমান । ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। শষ্য-শ্যামল সবুজ মাঠ প্রান্তরে সেই দৃশ্য অনেক টা হারিয়ে গিয়েছে দখলদারদের কবলে পরে। জনাব ইকবাল হোসেন তাপস এর প্রাণান্তকর ইচ্ছে সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা পরিচ্ছন্ন নগর ও মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা।
পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা তিনি করে চলছেন অবিরত। তার প্রতিষ্ঠান ” বরিশাল ফরএভার লিভিং সোসাইটি” নামক সংস্থাটি গড়ে তোলার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কেনরূপ বিনা- ফি তে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিনা অর্থে টেইলারিং প্রশিক্ষণ শেষে যাদের ক্রয়ের সামর্থ্য নেই তাদের বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে উপার্জন মুখী করে তোলা। অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত না করে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরিয়ে দেয়া এর মুল্য উদ্দেশ্য।
চলবে——–
লেখকঃ নাসরিন ইসলাম, কবি ও কথাসাহিত্যিক, আজীবন সদস্য, সফেন ফাউন্ডেশন,ঢাকা-বাংলাদেশ।