আগৈলঝাড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষনার পরেও সংস্কার হয়নি, দূর্ঘটনার আশংকা
শামীম আহমেদ: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপেক্সের কর্মচারীদের আবাসিক ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কর্মচারীরা। এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ কে চিঠি দিয়েও কোন লাভ হয়নি।
যে কোন মুহুর্তে ভবন ধসে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ভবন গুলো দীর্ঘদিনেও সংস্কার কাজ না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কর্মচারীরা ওই জরাজীর্ন ভবনে বসবাস করে আসছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ১৯৮৬ সালে এই আবাসিক ভবনটি নির্মান করা হয়।
দ্বিতল ভবনটিতে চারটি পরিবার বসবাস করে আসছে। ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সংস্কারের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক ভবনটি ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। তারপরেও ওই ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন একাধিক পরিবার।
পরিত্যক্ত ভবনে বসবাসরত হাসপাতাল ল্যাব টেকনেশিয়ান জাকির হোসেন তার পরিবার নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছেন।
তার কক্ষের ছাদের অংশ ধ্বসে পড়ে একটি খাট ভেঙ্গে গেছে। মৃত্যুর আশংকা মাথায় নিয়ে তিনি
ওই ভবনে বসবাস করছেন। যে কোন সময় এ ভবন ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন।
ওই ভবনে হাসপাতালের নার্সারী পরিচর্যাকারী শাহিন মৃধা, চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী মোঃ দুলাল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।
ভবনটি ধ্বসে পড়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারদের তিন তলা আবাসিক ভবনও পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন আঞ্চলিক প্রশিক্ষন অফিসের সহকারী প্রশিক্ষক পবিত্র রানী বিশ্বাস।
তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনে বসবাস করছি। যে কোন সময় ছাদের প্লাস্টার খসে পরে দুঘর্টনা
ঘটতে পারে।
এব্যাপারে হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বখতিয়ার আল মামুন জানান, ভবনগুলো এতোই ঝুঁকি পূর্ন যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরেছে।
ভালো কোন আবাসিক ভবন না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ওই ঝুঁকি পূর্ন ভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।