আসছে মৌসুমী হামিদের ‘ভালোবাসার রাজকন্যা’
বিনোদন নিউজ: জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। এবার ঈদে ছোটপর্দার পাশাপাশি থাকছেন বড় পর্দাতেও।
আসছে ঈদে মুক্তি পাবে তার অভিনীত ‘ভালোবাসার রাজকন্যা’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। এটিতে তিনি জুটি বেঁধেছেন শিপন মিত্রের সঙ্গে।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন রাজু আলিম। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মৌসুমী ছবিটির প্রচারনা করছেন।
ছবিটি প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, শুধু বড় পর্দাতেই নয়, একই সময়ে এটির ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হবে চ্যানেল আইয়ের পর্দাতে।
এটির শুটিং করেছি নেপালে। ঢাকায় ফিরেও খানিক কাজ করলাম। কাজের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। নেপালে ভালো ওয়েদার পেয়েছি। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে ছবিটি।
এই ছবিটি ছাড়াও মৌসুমীর মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘গোর’ শিরোনামের আরও একটি চলচ্চিত্র। এটি নির্মাণ করেছেন গাজী রাকায়েত।
এছাড়া তার হাতে আছে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ নামের একটি ছবি। এটি নির্মাণ করছেন আরিফুর জামান। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ছবিটি।
এই ছবির রাজলক্ষী চরিত্রে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। এর আগে ‘জালালের গল্প’, ‘ব্লাকমেইল’ ও ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’সহ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী।
মৌসুমী বর্তমানে ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছোটপর্দায় ঈদের নাটকের বাইরে কয়েকটি সেলিব্রিটি শোতেও থাকবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সম্প্রতি আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে তার অভিনীত ‘বিষয়টি পারিবারিক’ শিরোনামের নতুন একটি ধারাবাহিক।
বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘জায়গীর মাস্টার’। এই সময়ে টিভি নাটকের গল্প নিয়ে মৌসুমী অসুন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। সেটি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পাই না।
সব প্রেম-ভালোবাসার গল্পে ভরপুর। গতানুগতিক গল্পে কত কাজ করা যায়। সত্যি বলতে, ভালো কাজের সংখ্যা কমে গেছে। তবুও নিয়মিত কাজ করছি। যতটুকু ভালো করা যায় সেই বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি।
প্রতিটি নাটকে নিজেকে নতুন চরিত্রে তুলে ধরতে চান বলেই কি গল্প, চরিত্র নিয়ে আলাদা করে ভাবেন? মৌসুমীর ভাষ্য, ভালো নাটক, টেলিছবির জন্য সবার আগে প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে চরিত্রের গভীরতা থাকা চাই। হাস্যরসাত্মক গল্পেও কোনো কোনো চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ জন্য যে কোনো কাজ করার আগে গল্প ও চরিত্র নিয়ে আলাদা করে ভাবি।
সবসময় নিরীক্ষাধর্মী কাজ করতে চাই, কিন্তু সব সময় তা হয়ে ওঠে না। অভিনয়ে নিজেকে ভাঙতে চাইলেও সুযোগ কতটুকু থাকে সেটাই বড় বিষয়। সবসময় চ্যালেঞ্জিং চরিত্র খুঁজি। নিজেকে ভাঙার জন্য এটা জরুরি।
একজন শিল্পীকে এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। যেগুলো তার চোখে দেখার সুযোগ হয়নি। তেমনই কোনো চরিত্র পর্দায় তুলে ধরতে মৌসুমী প্রস্তুতি নেন কিভাবে?
তিনি বলেন, আমি যে কোনো চরিত্র আগে নির্মাতার কাছ থেকে বোঝার চেষ্টা করি। তিনি আমার কাছে কি প্রত্যাশা করেন তা জেনে নিই।
নিজের চোখে দেখা চরিত্র হোক বা না হোক অভিনয় করতে হলে পুরোপুরি পরিচালকের নির্দেশ মেনে কাজ করা প্রয়োজন।
এরপর চরিত্রের স্বভাব, বিভিন্ন পরিবেশে তাদের ওঠাবসা, মানসিক চিন্তাধারা এগুলো নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। নির্মাতার চাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া যে কোনো শিল্পীর উচিৎ বলে আমি মনে করি।