ইন্ডাস্ট্রির সবাই যাতে উপকৃত হন এমন কিছু করতে হবে
ভারতের মুম্বাইয়ে একটি ছবির শুটিং শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। তার অভিনীত দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
এরই মধ্যে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি
সম্প্রতি মুম্বাই থেকে জয়দীপ মুখার্জির ‘রক্তমুখী নীলা’ নামে একটি ছবির শুটিং শেষ করে এলাম। ডাবিংও প্রায় শেষ। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে এটি চলতি বছরই মুক্তি দেয়া হবে। কলকাতায় নতুন আরেকটি ছবির স্ক্রিপ্ট পড়েছি।
চলতি বছরই চুক্তিবদ্ধ হব আশা করছি। এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ব্যস্ত ছিলাম। সেখানেও নির্বাহী সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেছি। এসব কিছু নিয়েই আপাতত ব্যস্ততা।
সবে তো নির্বাচন হল। কমিটি হল। শিগগিরই কার্যকরী কমিটির মিটিং হবে। সেখানেই ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে। তবে সিনেমার উন্নয়নের জন্য যা যা করার দরকার সেগুলোতে আমার সায় থাকবে- এটা বলতে পারি। এককথায়, ইন্ডাস্ট্রির সবাই যাতে উপকৃত হন এমন কিছুই করতে হবে।
বিদেশি প্রোডাকশনে অভিনয় করা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। তবে আমি ভালোভাবে কাজ করতে পেরেছি। সবার সহযোগিতা পেয়েছি। এ ছবিতে সব্যসাচী মিশ্রা আমার সহশিল্পী। তিনি আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।
আসলে একটি ছবিতে অভিনয় করা মানে তো শুধু নিজের চরিত্র উপস্থাপনই নয়, শুটিংয়ের সময় অনেক কিছু শেখাও যায়। বলা যায় আমি দারুণ কিছু শিখেছি।
আমার অভিনীত দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেলের পরিচালনায় ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ও কলকাতার রাজা চন্দের পরিচালনায় ‘বেপরোয়া’। ছবি দুটি কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। এখন ছবির পরিচালক ও প্রযোজক বাকি বিষয়গুলো বলতে পারবেন।
একটি ছবি বানাব। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। এরই মধ্যে স্ক্রিপ্টও তৈরি করা হয়েছে। আমার অভিনয় ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততা শেষ হলে সবকিছু চূড়ান্ত করব।
এ মুহূর্তে নাটকে অভিনয়ে নিয়ে ভাবছি না। হয়তো পছন্দের বিজ্ঞাপন পেলে মডেলিং করব। আর শেষ অবধি চলচ্চিত্র অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকার ইচ্ছা।