ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহন, বেড়েছে উৎপাদন
শামীম আহমেদ: বরিশালে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত মাছের পরিমাণ ৪০ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৯৭৫ মেট্রিক টন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ পালন উপলক্ষে বুধবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
এ বছর ১৭ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আবু সাঈদ বলেন, জেলায় মোট মৎস্যচাষির সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪২৩ জন এবং মৎস্যজীবী ৭৪ হাজার ৫৭৯ জন।
জেলার ২০১১ সালের শুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৫০ জন। আর জনপ্রতি দৈনিক চাহিদা ৬০ গ্রাম হিসেবে মাছের মোট চাহিদা ৫০ হাজার ৯২৭ দশমিক ৩৫৫ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ সালে মাছের মোট উৎপাদন ৯১ হাজার ৮২৭ দশমিক ৩৩ মেট্রিকটন।
এরমধ্যে ইলিশের উৎপাদন ৩৭ হাজার ৮০৬ দশমিক ২৯৮ মেট্রিক টন এবং অন্যান্য মাছের উৎপাদন ৫৪ হাজার ২১ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন। জেলায় মোট মাছ উদ্বৃত্ত রয়েছে ৪০ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৯৭৫ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য এ বছর মাছ উৎপাদন বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৭ শতাংশ। পাশাপাশি বেড়েছে উদ্বৃত্তও।
তিনি আরও বলেন, বরিশালের এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জলরাশি মৎস্য সম্পদের বিশাল ভা-ার। এ অঞ্চলের নদ-নদী রূপালী ইলিশে যেমন সমৃদ্ধ, তেমনি স্বাদু পানির অন্যান্য মাছের এক বিশাল সমারোহ।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মা. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাসসহ মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।