কলাপাড়ায় ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি কাঁচা রাস্তায়
ইমন আল আহসান, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি দীর্ঘ বছর ধরে পাকা করার নামে চলছে নানা টালবাহানা। সড়কটি পাকা না হওয়ার কারনে শতশত মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেলেও প্রায় দুই কিলমিটার সড়কের মাটি কেটে রেখে চলে যায়। যার কারনে চলাচলে দুর্ভোগ আরও চরমে উঠে।
ঢাকাÑকুয়াকাটা মহা সড়কের পাখিমারাবাজারÑমিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এ সড়কটির আওতায় নীলগঞ্জ, মিঠাগঞ্জ,ডালবুগঞ্জ, বালিয়াতলী, ধুলাসার ও লালুয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ সংযোগ সড়ক হয়ে মহাসড়কে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ রক্ষা করে।
এ ছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বন্দর পায়রার মূল জেটি টি এই সংযোগ সড়কটির মাথায় রয়েছে। এ কারনে এ সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। তেগাছিয়া বাজারÑবালিয়াতলী ইউপি হয়ে লালুয়া ইউপি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পাকা করন ইতিপূর্বে সম্পন্ন হয়েছে।
কেবল মাত্র তেগাছিয়া বাজার খেয়াঘাটÑপাখিমারা বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করনের নামে চলছে নানা টালবাহানা। কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তিন কোটি টাকা বরাদ্ধ রেখে বরিশালের মেসার্স সান্টু নামের এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিলেও ঐ ঠিকাদার কাজে লোকসান হবে বলে কাজ ফেলে রেখে চলে যায়।
যার কারনে ঐ ঠিকাদারের ৩০ লক্ষ টাকা জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, বিষয়টি ১১৪ পটুয়াখালী-৪ এর সাংসদ অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান সাহেবের কাছে সড়কটি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। লোকসান হবে বলে কাজ ফেলে রেখে কন্ট্রাকটর চলে যাওয়ায় চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই সড়কটি উন্নয়নে কেবলই অবহেলিত রয়েছে। মিঠাগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনের চলাচলের একমাত্র পথটি পাকা হওয়া একান্ত জরুরী।
কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, সড়কটির পুনঃ টেন্ডার প্রকৃয়াধীন রয়েছে। ঠিকাদার কাজ না করার কারনে জনগণের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আশার কথা, সড়কটির পুনঃ টেন্ডার প্রকৃয়াধীন রয়েছে চলতি বছরেই বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।