কলাপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দী মানুষ, ক্ষতির আশংকায় সবজী চাষিরা

ইমন আল আহসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় টানা ১২ দিন ধরে একটানা ভারী বৃষ্টির কারনে গোটা উপজেলা পানি বন্দী হয়ে পরেছে।বিভিন্ন সবজী ক্ষেত, মাছের ঘের ও মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাবহারের পুকুর ভেসে গেছে পানিতে। গবাদী প্রানী খাদ্য সহ নানা সংকটে পরেছে উপকূলীয় এলাকার মানুষ।
উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাধেঁ বাপাউবো কর্তৃক পানি ওঠানামা স্লুইসগেট গুলো কতিপয় প্রভাব শালীর দখলে থাকায় পানি নামানোর চেয়ে বেশি উৎসাহী জোয়ারের পানি ওঠাতে। এর কারণ জাল পেতে মাছ ধরা। স্লুইসগেট গুলোয় নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পানি বন্দীর অন্যতম কারণ।
অভিরাম বৃষ্টির কারণে কুয়াকাটা,মহিপুর, আলীপুর,নীলগঞ্জ, মিঠাগঞ্জ, বালিয়াতলী, লালুয়া, ধুলাসার, টিয়াখালী, চম্পাপুর, চাকামইয়া, ডালবুগঞ্জ সহ গোটা উপজেলার সবজী চাষী দের উৎপাদিত সবজী ক্ষেত পানিতে তলিয়ে পচে যায়।
মাছের ঘের,অধিকাংশ পুকুর পাড় তলিয়ে মানুষের প্রচুর মাছ ভেসে গেছে। কোথাও কোথাও এই পানি নামতে গিয়ে আরও দুই চার দিন সময় লেগে যাবে। পুরো উপজেলায় এখন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ইতি মধ্যে চরম গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
স্লুইস খাল গুলোর বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে পানির গতীরোধ করে জাল পাতার কারণে পানি ওঠা নামায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি আমণ ফসলের চাষা-বাদ এই আষাঢ়েই শুরু হয়ে যাবে। এই মুহুর্তেই স্লুইসগেট গুলোর নিয়ন্ত্রণ কৃষকের হাতে না আসলে শুরুতেই বিজতলা পানি বন্দী হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
এবং আসন্ন অতি বৃষ্টির সময় পানি বন্দী হয়ে আমণ ফসলে আশানুরুপ ফলন নাও হতে পারে এমন আশংঙ্কা কৃষকের মাঝে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের সবজী চাষী ফারুক জানান, আমার দুই বিঘা জমিতে আগাম সবজী চাষ করি। হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় ।
সময় মত স্লুইসগেটে পানি না নামানোর কারণে আমার সবজী ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়, এর কারনে মারাত্বক আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হই। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরণ জানান, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পানি বন্দী হয়ে পরে,স্লুইসগেট দিয়ে পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে।
অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। অনেক সবজী চাষির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান,এরকমের বৃষ্টি গত ১০ বছরেও হয়নি স্লুইসখাল গুলোর বিভিন্ন অংশে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ায় সেই সব খালে বাড়ি ঘড় ওঠায় পানি ওঠা নামায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
সবজী চাষিরা ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা আব্দুল মন্নান জানান,সবজী চাষিদের ক্ষতি হয়েছে আগাম বৃষ্টি হওয়ায় আউশ ফলনে ভাল হয়েছে। পানি বন্দী এলাকা গুলো বাধঁ কেটে দেয়া হচ্ছে।এ অভিযান চলমান রয়েছে।