কলাপাড়ায় ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ঔষধের ব্যবসায়
ইমন আল আহসান,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা শত শত ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট ও ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকানের হিড়িক পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ নীরব ভুমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে করে ক্রেতা সাধারন পদে পদে ঠকছেন মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ বিক্রি করায় বহু জীবন বিপন্ন হচ্ছে।
উপজেলার উল্লেখযোগ্য হাট বাজার সহ গ্রামের সামান্য বাজার গুলোতেও লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকান করছেন । তাও অনেকে অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডাক্তার নামের বিভিন্ন ভূয়া টাইটেল লাগিয়ে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে।
এমন কী ঐসব বাজার গুলোতে মুদি দোকানের পাশাপাশি ঔষধ বিক্রি করছেন ফ্রি স্টাইলে । বছরের পর বছর এ অনিয়ম চলে আসলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে নিশ্চুপ রয়েছেন।
এদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন কিংবা জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ও ড্রাগ সুপার ভাইজার কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে এমন নজির নেই।
বরং কতিপয় হাতুড়ে ডাক্তার জটিল কোন রোগীর ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে রোগের বিবরন দিয়ে কতিপয় পাশ করা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এসব ডাক্তারেরা। ঐ সব ডাক্তার হাতুড়ে ডাক্তারের কাছ থেকে নিয়মিত মাশোয়ারা পেয়ে থাকেন।
এ কারনেই হাতুড়ে ডাক্তারদের দৌরত্ব দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.চিন্ময় হাওলাদার জানান, আসলে টিনের ঘরে ঔষধ রাখলে ঔষধের মান নিয়ন্ত্রনে থাকেনা ।
এ ব্যাপারে তদারকির দায়িত্ব ড্রাগ সুপারভাইজারের। যত্রতত্র ঔষধের দোকান গড়ে ওঠার খবর আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে সিভিলসার্জন পটুয়াখালীর মোবাইল ফোন নম্বরে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি তার ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।