‘কল্পনায় ছিলো এমনই একজন মানবদরদী মেয়র’
সোহেল আহমেদ: প্রত্যাশা ছিলো বরিশাল নগরে এমন একজন মেয়র হবেন যিনি সাধারন মানুষের সুখ দু:খ বুঝবেন। মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে সাধ্যমোতাবেক কাজ করে প্রশংসিত হবেন। যেটা এর আগে হয়েছিলেন সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরণ।
গেলো নির্বাচনে মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন তরুন প্রজন্ম’র অহংকার সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। অনেকেই মনে করেছিলেন তার অনুসারীদের কারনে মেয়র সাদিক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। অবশ্য মনেকরার যথেষ্ঠ কারণও আছে। সাদিক আবদুল্লাহ তরুন প্রজন্মকে যেভাবে বুকে আঁকড়ে নিয়ে অল্প সময়ে দলের অবস্থান এতাই শক্তিশালি পর্যয়ে নিয়ে গেছেন, যা এযাবতকালে বরিশালের কোন নেতা পেড়েছেন বলে মনেহয়না।
সেই তরুনদের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সাদিক আবদুল্লাহ হিমশিম খাবেন অথবা না পাওয়ার বেদনায় ক্ষোভে তার অনুসারীরা অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে মানুষের মধ্যে এমন আতংক জন্মানো প্রথম কিন্তু অযৌক্তিক ছিলোনা। আগেই বলেছি এর কারণ!
কিন্তু একজন সাদিক আবদুল্লাহ যখন মেয়র হলেন, পাল্টে গেলো সব চিত্র। পাল্টাতে শুরু করল মানুষের সেই অজানা সন্দেহের। কি এক মেধা খাঠিয়ে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ হচ্ছেন প্রশংসিত। নগর ভবনের চাকরিজীবী থেকে শুরু করে বরিশালের প্রায় সব মহলের কাছেই সাদিক আবদুল্লাহ গনমানুষের মানবদরদী মেয়র হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন।
অবশ্য ভিন্নদলের রাজনিতীর খাতিলে অনেকে সাদিকের বাস্তব প্রশংসিত কাজগুলোর খুঁত ধরবেন এটা নিতান্তই স্বাভাবিক।
গত ঈদে বরিশালের মানুষের যেভাবে দিনরাত নিরাপত্তা সেবা দিয়েছিলেন এবারও একইসেবায় নিজেকে গত কয়েকদিন যাবৎ রেখেছেন সড়কে! উদ্দেশ্য দূর থেকে আসা বরিশালের যাত্রীরা যেনো সাজছন্দে ঘরে ফিরতে পারে। সারা রাত সজাগ থেকে নিজেই তদারিকি করছেন।
এবার যে কারোণে বেশি প্রশংসিত হলেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তা হল ঈদে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের নাড়ির টানে ফেরা ঘড়মুখো মানুষের পাশে গভীর রাতে পাশে এসে দাড়িয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ঘরমুখো মানুষদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।
পাশাপাশি অসুস্থ রোগীদের বিশেষ সার্ভিসের মাধ্যমে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এসকল কাজের তদারকি করছেন নিজেই । দক্ষিণাঞ্চল মুখী মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চগুলোতে স্বাভাবিক দিনের থেকে আজ (১০ আগষ্ট) যাত্রী সংখ্যা খুব বেশিই ছিল।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকা ত্যাগ করতে শুরু করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নানান রুটে যাত্রীরা, যার মধ্যে বেশিরভাগ যাত্রীই নৌপথে লঞ্চযোগে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যরাত থেকে বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো এসে পৌঁছালে বেড়ে যায় ভিড়। জিয়াউল হক নামে ঢাকা থেকে আগত এক লঞ্চযাত্রী জানান,বরিশাল লঞ্চঘাটে নামার সাথে সাথেই বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নানামুখী উদ্যোগে দেখে মনে হচ্ছে খুব সহযেই গন্তব্যে পৌছাতে পারবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চগুলো ৫ টার পর থেকে যাত্রা শুরু করলেও সেগুলোতে যাত্রীরা গিয়ে
অবস্থান নিয়েছেন। মধ্যরাতে লঞ্চ থেকে নেমে হয়রানি রোধে পল্টুন ও নদী বন্দর ভবনের সামনে যাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও ছাউনি করা হয়েছে। একই সাথে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যাত্রীদের
জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। যে বাসগুলো লঞ্চে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের নগরীর কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড ও রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে নিরাপদে পৌঁছে দিচ্ছে। সাধারন যাত্রীদের মুখে কল্পনায় এমন একজন মানবদরদী চেয়েছিলাম। হয়ত খোদা আমাদের বরিশালবাসীর জন্য সেরকমই একজন মেয়র উপহার দিয়েছেন।
সম্পাদনায়: শামীম আহমেদ