কেউ নেই দেখার, স্কুল পড়ুয়া শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছ সাঁকো
ইমন আল আহসান,(কলাপাড়া) পটুয়াখালী থেকে: লালুয়া ইউনিয়নের রামনাবাধ চ্যানেল লাগোয়া চাড়িপাড়া গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল রক্ষাকরছে দৈনিক প্রায় ৬০ টি ঝুকিপূর্ন সাঁকো পার হয়ে।
পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীরা রয়েছে চরম দুর্ভোগে।চাড়িপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একে বারেই প্রমত্তা রামনাবাদের করালগ্রাসের স্বীকার যেকোন সমই এ স্কুল ভবনটি নদীগর্ভে হারিয়ে যেতেপাড়ে।
দেশের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ন সামুদ্রিক বন্দর এই রামনাবাদ নদীর তীরঘেষে লালুয়ায় অবস্থান।বরাবরই রামনাবাদ নদীটিই লালুয়া বাসীর দু:খ।
আশার কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই রামনাবাদ কে ঘিরেই দেশের তৃতীয় সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভোধন করেন এবং ঐ মাফিক ভূমি অধিগ্রহন করায় ঐ এলাকাটি এখন পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় চলেযায়।
একারনে স্থানীয় সরকার কিংবা দাতা সংস্থা এ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এখানকার বসবাসকারী হাজারও মানুষ রয়েছেন চরমদুর্ভোগে।
মুমূর্ষ রুগিদের ক্ষেত্রে উপজেলা সদর হাসপাতালে নদী পথে চার পাঁচ ঘন্টা পাড়িদিয়ে আসতে হয় কলাপাড়ায়। চাড়িপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,রহিম উদ্দিন বিদ্যালয় ,হালিম খাঁন দাখিল মাদ্রাসা সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা এ মরন ফাঁদের সাঁকো পাড়াপারে প্রতিদিনের বিড়াম্বনার।
পাঁচ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: রবিউল ইসলাম জানান,চাড়িপাড়া থেকে এ এলাকার একমাত্র বানাতী বাজার পর্যন্ত পাঁচ কি:মি: পথে ছোট বড় বিপদ জনক নয়টি সাঁকোপার হয়ে বাজারে ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়।
তার ওপর যোয়ার ভাটার পানিতে ফসলের মাঠসহ পথঘাট কাঁদা মটিতে একাকার হয়েযায় এসব দুর্ভোগী মানুষের জন্য একটু চলাচলের পথ তৈরি করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাই।
কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান,পায়রা পোট কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে কোন কাজ না করার জন্য।কাজ করলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পারমিশন নিয়ে কাজ করতে হবে।
দৈনিক বরিশাল ২৪.কম/ইমন আল আহসান