গাছ নেয় জনগন, দায়ী হয় চেয়ারম্যান
শামীম আহমেদ: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম চার কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন প্রজাতির রোপণকৃত গাছ স্ব স্ব জমির মালিকরা কেটে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই সড়কের দুই পাশে চারা রোপনকারী সৈকত গুহ পিকলু।
রহস্যজনক কারনে জমির মালিকদের কেটে নেয়া গাছের দায়ভার তাকেই বহন করতে হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, ১৯৯৯ সালে বরিশাল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাছ থেকে মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম চার কিলোমিটার সড়কে গাছের চারা রোপনের জন্য তিনি ইজারা নিয়ে সড়কের দুইপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ উল্লিখিত সড়কের জমি অধিগ্রহন না করায় অতিসম্প্রতি স্ব স্ব জমির মালিকরা তার লাগানো গাছ কেটে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ুর ঝূঁকি মোকাবেলায় গত কয়েকবছর যাবত মাহিলাড়া ইউনিয়নের সরকারী সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী শুরু করে সফলতা অর্জন করেন। ফলে ২০১৮ সালে বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য আবেদন করা হয়।
জাতীয় পুরস্কারের জন্য তার নাম চুরান্ত হওয়ার পর থেকে গৌরনদীর এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগে যায়। এমনকি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার থেকেও ওই ব্যক্তির তৎপরতা অব্যাহত থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যে তথ্য দিয়ে তার (পিকলু) বিরুদ্ধে মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম চার কিলোমিটার সড়কের গাছ কেটে নেওয়ার অপ্রচার চালানো হয়।
সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করে তার (পিকলু) বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার একটি মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার লাগানো গাছও কেটে নেওয়া হলো, অথচ আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই আমার বিরুদ্ধেই গোপনে মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে জমির মালিকদের কেটে নেয়া গাছের দায়ভারও আমার উপর চাপিয়ে দেয়া হলো।
এব্যাপারে তিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।