গৌরনদীতে পেঁপেঁ পাতার রশ খেয়ে সুস্থ্য সাত ডেঙ্গু রোগী
শামীম আহমেদ: জেলার গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চার সন্তানের
জননী গৃহবধু নাছিমা বেগম (৩৭) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। নাছিমা বেগম পিঙ্গলাকাঠীর মোল্লারখালপাড় নামক এলাকার আবুল হোসেন মোল্লার স্ত্রী। জানা গেছে, একই গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাতজনে পেঁেপ পাতার রস খেয়ে সম্পূর্ণরুপে সুস্থ্য হয়েছেন।
ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি সদস্য সিরাজ ফকির (৫২) জানান, তিনিসহ তার কন্যা বিএম কলেজের
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী অন্তরা (২০), প্রতিবেশী জলিল সরদার (২২), সুমন হাওলাদার (২০), জুরান ফকির
(৩২), ইব্রাহিম সরদার (২২), রেনু বেগম (৪০) ও নাছিমা বেগম (৩৫) কোরবানীর ঈদের পর ডেঙ্গু জ্বরে
আক্রান্ত হন। তারা সবাই গৌরনদীর একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তর
বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে
যান। কিন্তু সেখানে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় নিরাশ হয়ে পরেন। এ সময় তার পুত্র
ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেঁপে পাতার রশ খেলে ডেঙ্গু জ্বর ভাল হয় বিষয়টি
জানতে পারেন।
পরবর্তীতে পুত্রের পরামর্শে তিনি (সিরাজ) সহ অন্যান্যরা দৈনিক সকাল-বিকেল ও দুপুরে আধা কেজি করে পেঁপেঁ পতার রশ ও একটি করে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করেন। সাতদিনের মধ্যে
তারা সাতজনেই সম্পূর্ন সুস্থ্য হন।
তবে তাদের পরামর্শে নাছিমা বেগম পেঁপেঁ পাতার রশ না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত নাছিমা বেগম গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পরলে রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়।
পেঁপেঁ পাতার রশ খেলে ডেঙ্গু জ্বর ভাল হয় এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ বিপুল বিশ্বাস বলেন, এমন কোন বিষয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেই, তাই আমরা কাউকে এ ধরনের পরামর্শ দিতে পারিনা।