চট্টগ্রাম কারাগারের ভেতরে অন্যরকম ঈদ
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কারাবন্দিদের জন্য ঈদের দিনটি অন্য দিনগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রমী কিছু নয়। কিন্তু এর মাঝেই বন্দিজীবনে কিছুটা হলেও আনন্দ এনে দিতে প্রতিবছরই নানা আয়োজন করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। বরাবরের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে কারাগারে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
ঘরোয়া আবহ আনার জন্য সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের সকালেই বন্দিদের নিজ নিজ সেলে মুড়ি, পায়েস ও সেমাই পাঠানো হয়। এরপর কারাগারের ভেতরের ময়দানে ঈদুল আজহার একমাত্র জামাতে অংশ নেন কারাবন্দিরা। কারাগার মসজিদের নিয়মিত ইমাম ঈদ জামাতের ইমামতি করেন।
ঈদের সকালেই বন্দিদের নিজ নিজ সেলে মুড়ি, পায়েস ও সেমাই পাঠানো হয়। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল আবরার হোসেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার জামে মসজিদে ঈদ-উল-আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
পরে তিনি কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কারাভ্যন্তরে আটক মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাদেরকে চকলেট ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পুুরুষ ওয়ার্ডে গিয়েও বন্দিদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন, জেলার নাশির আহমেদ এবং ডেপুটি জেলাররা। কর্ণেল আবরার হোসেন বলেন, ’এটি অনন্য সুন্দর এক অভিজ্ঞতা। চট্টগ্রামে আমার কারাবিভাগের সবার সাথে ঈদের নামাজ, মহিলা বন্দিদের বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো এবং অন্যান্য বন্দিদের সাথে কুশল বিনিময় সবমিলিয়ে সত্যিই অসাধারণ।’ আটক মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুদের মাঝে চকলেট ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
ঈদের জামাতের পরপরই বন্দিরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। তাদের জন্য দুপুরের মেন্যুতে ছিল সাদা ভাত, রুই মাছ আর আলুর দম। সাড়ে ৮ হাজার কারাবন্দির জন্য কোরবানির গরুর মাংসের ব্যবস্থাও করেছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার।
রাতের বিশেষ আয়োজনে তারা পাবেন পোলাও, কোরবানির গরুর মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। তবে যারা গরুর মাংস খান না তাদের জন্য রয়েছে খাসির মাংস। দুপুরের পর থেকে মাংস আসা শুরু হয়। রাত ৯টা থেকে এসব মাংস দিয়ে কারাবন্দিদের খাবার সরবরাহ শুরু হয়।