জীবনকে ছাড়খার করে দেওয়া এক ভালোবাসার আত্মকাহিনী
সোহেল আহমেদঃ ভালোবাসা দিবসেকে কেন্দ্র করে উঠতি বয়সী তরুণ তরুণী ছাড়াও প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎফুল্লতা লক্ষ্য করা যায়। দিবসটির সূত্রপাত কোথায় কিভাবে তা হয়তো অধিকাংশের অজানা। সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। পরস্পরকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস আর ভালোবেসে জীবন সঙ্গী হয়েছিলেন রুপা (ছদ্মনাম)। সম্পর্কে তাঁরা নিকট আত্মীয় ছিলেন। সাংসারিক অভাব অনটন থাকায় রুপা পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারে নি। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে রূপাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় তাঁরই নিকট আত্মীয় যুবক। কিশোরী রুপা অবুজ মনের সরল বিশ্বাস নিয়ে যুবকের প্রেমে পড়ে যায়। একে অপরের সাথে দিনের পর দিন কথা, জীবনকে রঙিন করে সাজানোর নানা আলাপন! রুপার স্বপ্নের আকাশে কালো মেঘের বাঁধা! রুপার সাথে যুবকের প্রেম কিছুতেই মেনে নিতে চাইছে না মা বাবা সহ পরিবার। রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর রুপাকে কেউ বুঝাতে পারলো না। কঠিন বাস্তবতাকে বরণ করে একদিন রুপা যুবকের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। যুবকের দেয়া কতোই না প্রতিশ্রুতি রুপাকে বদলে দেয় ভিন্ন জগতের দিকে। বেকার যুবকের সাথে বিয়ে করে অতি তাড়াতাড়ি জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয় রুপা। সঙ্গতো কারণে স্বামী স্ত্রী মিলে কাজের সন্ধানে নেমে পরে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ নেয় রুপা। স্বামীকে দিয়ে কোথাও কাজের ব্যবস্থা করতে পারলো না। উপায়ন্ত না পেয়ে দিনমজুরের কাজ করতে স্বামীর। এভাবে কয়েক বছর ভালোই কাটে রুপার জীবন সংসার। এ-র মধ্যে রুপার কোলজুড়ে ফুটফুটে দুটি সন্তানের জন্ম! রুপার সংসারে সদস্য বেড়েছে, বেড়েছে খরচের সংখ্যাও। নিত্যদিনের খরচ আর পারিবারিক ঝৈ ঝামেলায় রুপা বেকায়দায়। স্বামীর সাথে নানা কারণে মতবিরোধ। পারিবারিক কলহে ছাড় খার হয়ে যাচ্ছে রুপার স্বপ্নের সংসার। প্রেমের বিয়ে শুরুতে মেনে না নিলেও বিপদ মুহুর্তে অভিমান ভেঙে যায় রুপার পরিবাররের। টাকা পয়সা সহ বিভিন্ন সহযোগীতা করে রুপার পাশে যখন পরিবার, কতিপয় অলস পরশ্রীকাঁতর প্রতিবেশী রুপার সংসারে ওতপেতে রইলো। এভাবে দিনের পর দিন ঝৈ ঝামেলায় পারিবারিক সম্পর্কে ভাটা পড়তে থাকে। একদিন চুড়ান্তভাবে ভেঙে যায় সংসার। ভেঙে যায় দুটি ভালোবাসার চিরোবন্ধন।
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা হোক মানবতার কল্যাণে। ভালোবাসা অটুট থাকুক সমাজের সব মানুষের মধ্যে।