জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জান্নাতুল, প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা
অনলাইন নিউজ: দিনের শুরু আর শেষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই জান্নাতুল নাঈমের। কারণ, তার ছোটাছুটি নেই, আড্ডা নেই, নেই কোনো কাজ। ইচ্ছে থাকলেও এসব করতে পারেন না তিনি। কারণ, তার দুটি কিডনিই বিকল।
ইডেন মহিলা কলেজের স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম (২৩)। স্নাতকোত্তর শেষ করতে কিছুদিন বাকি। চোখে ছিল অনেক স্বপ্ন। কিন্তু তার জীবনের গতিপথে হঠাৎছন্দপতন। অর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যেও পারিবারের সদস্য ও বন্ধুদের চেষ্টায় কোনোভাবে জান্নাতুলকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এখন জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে তার চোখে শুধু বাঁচার আকুতি আর হৃদয়বানদের কাছে মানবিক সাহায্যের প্রার্থণা।
তিন ভাইয়ের একমাত্র ছোট বোন জান্নাতুল। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুই বছর আগে বাবা হোদায়েত উল্যা মারা গেছেন। এরপর থেকে পরিবারের দায়িত্ব পড়ে বড় ভাই মো. সুমনের ওপর।
বাবাকে হারানোর ক্ষত এখনো শুকায়নি সুমনের। এরই মধ্যে বোনের দুই কিডনী বিকলের সংবাদে হতবাক আর দিশেহারা মো. সুমন। নিজের জমানো সম্বল যা ছিল তা এরই মধ্যে বোনের চিকিৎসায় খরচ করেছেন তিনি।
সুমন চেয়েছিলেন বোনের জন্য নিজের একটি কিডনি দান করবেন। কিন্তু মেডিক্যাল পরীক্ষায় সেটি না মেলায় দিতে পারেননি। একই কারণে কিডনী দান করতে পারছেন না তার মা ফাতেমা আক্তারও। এখন চিকিৎসকদের পরামর্শ জান্নাতুলের কিডনি প্রতিস্থাপনে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে।
বিদেশে নিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে অন্তত ৪৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা কোথায় পাবেন। তারা মনে করছেন, সকলের সহায়তায় বেঁচে উঠতে পারে জান্নাতুল।
মো. সুমন বলেন, ‘আমার বোনকে (জান্নাতুল নাঈম) গত ২ ডিসেম্বর হাসপাতালে নিয়ে যাই। গত সপ্তাহে তাকে বাসায় নিয়ে এসেছি। এখন সপ্তাহে তিন দিন সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এজন্য খরচ হয় ১৮০০ টাকা। ইনজেকশনের জন্য লাগে ১৯০০ টাকা।’
জান্নাতুল নাঈমকে প্রথমে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে কিডনি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান তারা। এরপর নেওয়া হয়েছে কিডনি ফাউন্ডেশনে। সেখান থেকে নেওয়া হয় পপুলার হাসপাতালে।
মো. সুমন বলেন, ‘আমার বোনকে সুস্থ করার আশায় অনেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছি।
পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সারোয়ার ইকবাল বলেছেন, ‘ওর বয়স কম। ফলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যাবে।’ তাই আমরা আশা নিয়ে বসে আছি। বিদেশে চিকিৎসা করানোর মতো এত টাকা আমাদের কাছে নেই। তাই দেশের মানুষের কাছে বোনের জীবন বাঁচাতে আর্থিক সহায়তা চাইছি। সবার সহযোগিতা পেলে আমার বোনের জীবন বাঁচতে পারে।’
জান্নাতুল নাঈম ২০১০ সালে সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১২ সালে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি আর ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে সালে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে সম্মান (ব্যবস্থাপনা) বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
জান্নাতুল নাঈমকে আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা:
মাঈনউদ্দিন (Myeenuddin), অ্যাকাউন্ট নং- ২১০১৫১২৮১৭০০১, সিটি ব্যাংক, পল্লবী শাখা, ঢাকা। জাহিদ হাসান (Jahid Hasan), অ্যাকাউন্ট নং-১৪১১০১৩৮৬২৮৫, ডিবিবিএল শাখা, কুমিল্লা। মো. জাহিদ হাসান (Md. Jahid Hasan), অ্যাকাউন্ট নং-২৩০২৪২৯৪৫৯০০১, সিটি ব্যাংক, উত্তরা শাখা, ঢাকা।
রকেটে টাকা পাঠানোর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ০১৭১৯১৫২৯১৯৯, ০১৮৬৫৬৮৫৫৫৫৭। বিকাশে টাকা পাঠানোর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ০১৭১৭৪০৯৭৫৮, ০১৭৪৮০৮১৫৩১, ০১৮২৫০০৮১৩৬, ০১৮৬৫৬৮৫৫৫৫। বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর ০১৯৭৬৩৭৬১৪৯।
আর্থিক সহায়তা পাঠানোর আগে বা পরে সুমন (০১৭৪৮০৮১৫৩১) ও জাহিদের সঙ্গে (০১৭১৪৬১৭৭৭৩) যোগাযোগের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।