ডেঙ্গুর সিরোটাইপ: ড. আলিমুলের উদ্ভাবন বাঁচাবে জীবন - দৈনিক বরিশাল ২৪ দৈনিক বরিশাল ২৪ডেঙ্গুর সিরোটাইপ: ড. আলিমুলের উদ্ভাবন বাঁচাবে জীবন - দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রকাশিতঃ আগস্ট ১১, ২০১৯ ৭:২৪ অপরাহ্ণ
A- A A+ Print

ডেঙ্গুর সিরোটাইপ: ড. আলিমুলের উদ্ভাবন বাঁচাবে জীবন

অনলাইন নিউজ: ডেঙ্গু শনাক্তের যে পরীক্ষা করা হয়, সেই পরীক্ষাতেই এটি কোন ধরনের ডেঙ্গু তা বের করার পদ্ধতি আবিষ্কারের দাবি করেছেন বাংলাদেশের একজন গবেষক। তিনি বলছেন, ডেঙ্গুটি কোন ধরনের, সেটা আগেভাগে জানা গেলে চিকিৎসায় সুবিধা হবে।

গবেষক আলিমুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলছেন, তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টায় ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপ এবং চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও সিরোটাইপ সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যাবে।

এই গবেষক ২০০২ সালে ডেঙ্গু থ্রি সিরোটাইপের জীবনরহস্য বের করেছিলেন। জানান, ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপ রয়েছে। ডেন ‘ওয়ান’, ডেন ‘টু’, ডেন ‘থ্রি’ এবং ডেন ‘ফোর’।

প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আবদুল্লাহ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চলতি বছর যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ডেন ‘থ্রি’তে আক্রান্ত ছিলেন। তবে সব রোগী কোন সিরোটাইপে আক্রান্ত, সেটা শনাক্ত করা যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবেদ আমিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সিরোটাইপ শনাক্ত করা বেশ ব্যয়বহুল। তাই এটা সেভাবে করা হয় না।’

তবে অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম বলছেন, এনএস ওয়ানের যে পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয় তেমন পরীক্ষাতেই ডেঙ্গু শনাক্তের পাশাপাশি এটি কোন টাইপের সেটা বের করা সম্ভব।

‘আমরা জানি না বাংলাদেশে ডেঙ্গু থ্রি ছাড়া আর কোনো সিরোটাইপ আছে কি না। এইটা টেস্ট করার জন্য যদি চারটা সিরোটাইপ টেস্ট করতে পারি, তাহলে চারটার জন্য চারটা আলাদা টেস্ট করতে হবে।

এটা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু আমি যে টেকনোলজি ডেভেলপ করেছি, সেখানে ডেঙ্গুর যে কোনো সিরোটাইপ, চারটাই বা চারটার মধ্যে তিনটা বা দুইটা বা একটা, যে কোনো একটা থাকুক না কেন, সব এক টেস্টেই বের হয়ে চলে আসবে। এটাই এই টেস্টের নভেলটি।’

‘চারটি টেস্ট ইনডিভিজুয়ালি (আলাদাভাবে) করেন, তাহলে একেকটায় যদি দুই হাজার টাকা করেও খরচ করেন, তাহলে খরচ হবে আট হাজার টাকা। কিন্তু এখানে আট ভাগের এক ভাগও খরচ হবে না। আমার এখানে এক হাজার টাকাও যদি দেওয়া হয়, পুরা টেস্টটা কমপ্লিট হয়ে যাবে।’

এই পদ্ধতিটি অবশ্য আবিস্কার হয়েছে কয়েক বছর আগে। জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। পরে মালয়েশিয়ায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে।

সে দেশের সরকার আয়োজিত বায়োলেজিস্টদের উদ্ভাবন নিয়ে এক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় তার উদ্ভাবনটি। স্বর্ণ পদক পান তিনি। মালয়েশিয়ার সরকার এই আবিস্কারটি পেটেন্ট করানোর চেষ্টা করে। সে দেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে বলে। কিন্তু তিনি রাজি হননি।

এতদিন পরে কেন এটা জানাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমি একটু বাইরে ছিলাম, আসার পর দেখলাম ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করেছ এবং বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির লোক জনসচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্নভাবে লেখছে। তখন আমি ভাবলাম, বাংলাদেশে ডেঙ্গি ভাইরাস আমি প্রথম ইন্ট্রোডিউস করে দিয়েছি। এবং ডেঙ্গির টাইপ থ্রি জিনোম স্ট্রাকচার আমি প্রথম উন্মোচন করেছি। তখন ভাবলাম আমার কিছু করা দরকার।’

বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে এই উদ্ভাবক নানা পর্যায়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এখানে বহু ফর্মালিটিস, আমিও অনেক কষ্ট করে টেকনোলজি ডেভেলপ করব আবার এর জন্য ঘুরব- এটা পারব না।’

যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমেদুল কবির ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কোন ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত, সেটা যদি আগেভাগেই জানা যায়, তাহলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার হবে।’

বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আগে থেকে যদি আমরা জানতে পারি রোগী কোন ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত, তাহলে চিকিৎসাটা সেভাবেই হবে।’

উদ্ভাবক আলিমুল বলেন, ‘সিরোটাইপ ডিগ্রেশন এ কারণে করা দরকার যে, আজকে যে টাইপ দ্বারা হয়েছে, সেটা যদি আগামী বছর অন্য টাইপ হয়, তাহলে ডিজিজটা আরো বেশি সিরিয়াস হবে।’

‘সেই সতর্কতা জানার জন্য এবং ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে ইমপোর্ট করে হোক, অথবা দেশে তৈরি করে হোক, আমাদেরকে চারটা সিরোটাইপ আমাদেরকে আইডেনটিফিকেশন করতে হবে। নইলে আমরা অ্যাকশন নিতে পারব না। নইলে ভ্যাকসিন তৈরি করাও সম্ভব নয়।’

‘এই পরীক্ষায় জানা যাবে, ডেঙ্গু ওয়ান ফার্স্ট টাইম হলো নাকি সেকেন্ড টাইম হলো। এতে ডাক্তার লাইন অব ট্রিটম্যান্ট আলাদা দেবে। আপনাকে পরবর্তীতে এই এই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর চারটা টাইপের অ্যাগেইনস্টে ব্যবস্থা নিতে পারবে। ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন দেশে এখন ভ্যাকসিন তৈরি করছে। কেউ প্রাইমারি ভ্যাকসিন তৈরি করছে, কেউ অন্য ভ্যাকসিন করছে।’

এই পরীক্ষার সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে কত দিন সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আলিমুল বলেন, ‘এটা তো রেডি। এমন না যে এটা তৈরি করব কারো অনুদান নিয়ে। আমি এটা ডব্লিউএইচওর ফান্ড নিয়ে কমপ্লিট করে ফেলেছি। এই টেস্টটা আমার দেশের জন্য ব্যয় করতে কোনো আপত্তি নেই।’

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আবদুল্লাহ সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যাদের সিরোটাইপ ওয়ান হয় বা প্রথম বার হয় তারা অতটা জটিল রোগী না। এটা হয়ত তার হয়ে গেছে কিন্তু নিজেও জানে না। জ¦র একটু আকটু হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা মনে করেছে। সেকেন্ড, থার্ড বা ফোর্থ টাইম যাদের হয় তাদের অবস্থা জটিল হয়। এ জন্য আগেভাগে শনাক্ত করা জরুরি।

এবার যারা যারা মারা গেছে তাদের সিংহভাগই আগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান ডাক্তার আবদুল্লাহ। বলেন, ‘মনে হচ্ছে এবার থ্রি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। এটার সংখ্যাটা বেশি এবার। এটা সিরিয়াস বলেই এবার মৃত্যুর সংখ্যাটা বেশি।’

এবার ডেঙ্গুর ধরণটা পাল্টে গেছে বলেও জানান অধ্যাপক আবদুল্লাহ। বলেন, ‘প্রতিবার যে লক্ষণগুলো থাকে সেগুলো আমরা পাচ্ছি না। এবার জ¦র কম, পেইন নেই। এক দুইদিনের মধ্যে প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। রক্তক্ষরণের ঝুঁকি হচ্ছে। সেখান থেকে অনেক রোগীর পালস নেই, ব্লাডপ্রেসার নেই, প্রসাব নেই, রোগী অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা শকে চলে যাচ্ছে। এটায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এটা হওয়াতে কিছু লোকের মৃত্যু হয়ে গেছে। এবার রোগীরা বুঝতে পারছে না তাদের রোগের সিম্পটম। অথবা ডাক্তারও কেউ কেউ মিস করছে।

দৈনিক বরিশাল ২৪

ডেঙ্গুর সিরোটাইপ: ড. আলিমুলের উদ্ভাবন বাঁচাবে জীবন

রবিবার, আগস্ট ১১, ২০১৯ ৭:২৪ অপরাহ্ণ

অনলাইন নিউজ: ডেঙ্গু শনাক্তের যে পরীক্ষা করা হয়, সেই পরীক্ষাতেই এটি কোন ধরনের ডেঙ্গু তা বের করার পদ্ধতি আবিষ্কারের দাবি করেছেন বাংলাদেশের একজন গবেষক। তিনি বলছেন, ডেঙ্গুটি কোন ধরনের, সেটা আগেভাগে জানা গেলে চিকিৎসায় সুবিধা হবে।

গবেষক আলিমুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলছেন, তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টায় ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপ এবং চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও সিরোটাইপ সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যাবে।

এই গবেষক ২০০২ সালে ডেঙ্গু থ্রি সিরোটাইপের জীবনরহস্য বের করেছিলেন। জানান, ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপ রয়েছে। ডেন ‘ওয়ান’, ডেন ‘টু’, ডেন ‘থ্রি’ এবং ডেন ‘ফোর’।

প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আবদুল্লাহ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চলতি বছর যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ডেন ‘থ্রি’তে আক্রান্ত ছিলেন। তবে সব রোগী কোন সিরোটাইপে আক্রান্ত, সেটা শনাক্ত করা যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবেদ আমিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সিরোটাইপ শনাক্ত করা বেশ ব্যয়বহুল। তাই এটা সেভাবে করা হয় না।’

তবে অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম বলছেন, এনএস ওয়ানের যে পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয় তেমন পরীক্ষাতেই ডেঙ্গু শনাক্তের পাশাপাশি এটি কোন টাইপের সেটা বের করা সম্ভব।

‘আমরা জানি না বাংলাদেশে ডেঙ্গু থ্রি ছাড়া আর কোনো সিরোটাইপ আছে কি না। এইটা টেস্ট করার জন্য যদি চারটা সিরোটাইপ টেস্ট করতে পারি, তাহলে চারটার জন্য চারটা আলাদা টেস্ট করতে হবে।

এটা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু আমি যে টেকনোলজি ডেভেলপ করেছি, সেখানে ডেঙ্গুর যে কোনো সিরোটাইপ, চারটাই বা চারটার মধ্যে তিনটা বা দুইটা বা একটা, যে কোনো একটা থাকুক না কেন, সব এক টেস্টেই বের হয়ে চলে আসবে। এটাই এই টেস্টের নভেলটি।’

‘চারটি টেস্ট ইনডিভিজুয়ালি (আলাদাভাবে) করেন, তাহলে একেকটায় যদি দুই হাজার টাকা করেও খরচ করেন, তাহলে খরচ হবে আট হাজার টাকা। কিন্তু এখানে আট ভাগের এক ভাগও খরচ হবে না। আমার এখানে এক হাজার টাকাও যদি দেওয়া হয়, পুরা টেস্টটা কমপ্লিট হয়ে যাবে।’

এই পদ্ধতিটি অবশ্য আবিস্কার হয়েছে কয়েক বছর আগে। জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। পরে মালয়েশিয়ায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে।

সে দেশের সরকার আয়োজিত বায়োলেজিস্টদের উদ্ভাবন নিয়ে এক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় তার উদ্ভাবনটি। স্বর্ণ পদক পান তিনি। মালয়েশিয়ার সরকার এই আবিস্কারটি পেটেন্ট করানোর চেষ্টা করে। সে দেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে বলে। কিন্তু তিনি রাজি হননি।

এতদিন পরে কেন এটা জানাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমি একটু বাইরে ছিলাম, আসার পর দেখলাম ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করেছ এবং বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির লোক জনসচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্নভাবে লেখছে। তখন আমি ভাবলাম, বাংলাদেশে ডেঙ্গি ভাইরাস আমি প্রথম ইন্ট্রোডিউস করে দিয়েছি। এবং ডেঙ্গির টাইপ থ্রি জিনোম স্ট্রাকচার আমি প্রথম উন্মোচন করেছি। তখন ভাবলাম আমার কিছু করা দরকার।’

বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে এই উদ্ভাবক নানা পর্যায়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এখানে বহু ফর্মালিটিস, আমিও অনেক কষ্ট করে টেকনোলজি ডেভেলপ করব আবার এর জন্য ঘুরব- এটা পারব না।’

যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমেদুল কবির ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কোন ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত, সেটা যদি আগেভাগেই জানা যায়, তাহলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার হবে।’

বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আগে থেকে যদি আমরা জানতে পারি রোগী কোন ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত, তাহলে চিকিৎসাটা সেভাবেই হবে।’

উদ্ভাবক আলিমুল বলেন, ‘সিরোটাইপ ডিগ্রেশন এ কারণে করা দরকার যে, আজকে যে টাইপ দ্বারা হয়েছে, সেটা যদি আগামী বছর অন্য টাইপ হয়, তাহলে ডিজিজটা আরো বেশি সিরিয়াস হবে।’

‘সেই সতর্কতা জানার জন্য এবং ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে ইমপোর্ট করে হোক, অথবা দেশে তৈরি করে হোক, আমাদেরকে চারটা সিরোটাইপ আমাদেরকে আইডেনটিফিকেশন করতে হবে। নইলে আমরা অ্যাকশন নিতে পারব না। নইলে ভ্যাকসিন তৈরি করাও সম্ভব নয়।’

‘এই পরীক্ষায় জানা যাবে, ডেঙ্গু ওয়ান ফার্স্ট টাইম হলো নাকি সেকেন্ড টাইম হলো। এতে ডাক্তার লাইন অব ট্রিটম্যান্ট আলাদা দেবে। আপনাকে পরবর্তীতে এই এই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর চারটা টাইপের অ্যাগেইনস্টে ব্যবস্থা নিতে পারবে। ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন দেশে এখন ভ্যাকসিন তৈরি করছে। কেউ প্রাইমারি ভ্যাকসিন তৈরি করছে, কেউ অন্য ভ্যাকসিন করছে।’

এই পরীক্ষার সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে কত দিন সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আলিমুল বলেন, ‘এটা তো রেডি। এমন না যে এটা তৈরি করব কারো অনুদান নিয়ে। আমি এটা ডব্লিউএইচওর ফান্ড নিয়ে কমপ্লিট করে ফেলেছি। এই টেস্টটা আমার দেশের জন্য ব্যয় করতে কোনো আপত্তি নেই।’

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আবদুল্লাহ সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যাদের সিরোটাইপ ওয়ান হয় বা প্রথম বার হয় তারা অতটা জটিল রোগী না। এটা হয়ত তার হয়ে গেছে কিন্তু নিজেও জানে না। জ¦র একটু আকটু হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা মনে করেছে। সেকেন্ড, থার্ড বা ফোর্থ টাইম যাদের হয় তাদের অবস্থা জটিল হয়। এ জন্য আগেভাগে শনাক্ত করা জরুরি।

এবার যারা যারা মারা গেছে তাদের সিংহভাগই আগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান ডাক্তার আবদুল্লাহ। বলেন, ‘মনে হচ্ছে এবার থ্রি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। এটার সংখ্যাটা বেশি এবার। এটা সিরিয়াস বলেই এবার মৃত্যুর সংখ্যাটা বেশি।’

এবার ডেঙ্গুর ধরণটা পাল্টে গেছে বলেও জানান অধ্যাপক আবদুল্লাহ। বলেন, ‘প্রতিবার যে লক্ষণগুলো থাকে সেগুলো আমরা পাচ্ছি না। এবার জ¦র কম, পেইন নেই। এক দুইদিনের মধ্যে প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। রক্তক্ষরণের ঝুঁকি হচ্ছে। সেখান থেকে অনেক রোগীর পালস নেই, ব্লাডপ্রেসার নেই, প্রসাব নেই, রোগী অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা শকে চলে যাচ্ছে। এটায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এটা হওয়াতে কিছু লোকের মৃত্যু হয়ে গেছে। এবার রোগীরা বুঝতে পারছে না তাদের রোগের সিম্পটম। অথবা ডাক্তারও কেউ কেউ মিস করছে।

প্রকাশক: মোসাম্মাৎ মনোয়ারা বেগম। সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা। সম্পাদক : শামিম আহমেদ যুগ্ন-সম্পাদক : মো:মনিরুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টা: মোসাম্মৎ তাহমিনা খান বার্তা সম্পাদক : মো: শহিদুল ইসলাম ।
প্রধান কার্যালয় : রশিদ প্লাজা,৪র্থ তলা,সদর রোড,বরিশাল।
সম্পাদক: 01711970223 বার্তা বিভাগ: 01764- 631157
ইমেল: sohelahamed2447@gmail.com
  সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সক্রিয় ট্রাফিক পুলিশ   “সাংবাদিকদের সক্রিয় রাজনীতিতে না আসাই ভাল”–মজিবর রহমান সরোয়ার   পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন বরিশালের কৃতিসন্তান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান   বানভাসীদের সহযোগিতায় এক দিনের বেতন দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়কোহামা লেভেলস এন্ড প্রিন্টিং (বিডি) লিমিটেড   বরিশালে শ্রমীক লীগ নেতার ইসলামী আন্দোলনে যোগদান   বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এরো চট্টগ্রামের ধানসিঁড়ি আদর্শ কেজি স্কুল   বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এলো ধানসিঁড়ি আদর্শ কেজি স্কুল   বন্যাদূর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত   খাগড়াছড়িতে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী   বোট নিয়ে চট্টগ্রামের নিউমুরিং থেকে উদ্ধার টিম নোয়াখালীতে পৌছাল   বরিশালে দুর্গোৎসবের টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বন্যার্তদের জন্য দান   বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে সেনা মোতায়েন   চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস উদ্বোধন   বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দলনে নিহত শান্ত ও রাকিবের কবর জিয়ারত করলেন বরিশাল জাপার নেতৃবৃন্দ   রাস্ট্র সংস্কারে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবেঃ ইকবাল হোসেন তাপস   রাস্তায় লাঠি হাতে ছাত্রলীগকে মানুষ পছন্দ করেনি, অন্য কাউকেও দেখতে চায় নাঃ তাপস   বাবা মুুক্তিযোদ্ধা না হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন ডিবি হারুন   সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা   জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে সুখবর   অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানালো আওয়ামী লীগ