নদী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ সারাবিশ্বে অনুকরণীয়: হাইকোর্ট
অনলাইন নিউজ: হাইকোর্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পাবলিক ট্রাস্ট সম্পত্তি রক্ষায় একের পর এক আইন প্রণয়ন, সংবিধান সংশোধন এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করে সারাবিশ্বে অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্যা আর্থ’ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তা স্বত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সকল কর্মপ্রচেষ্টা ম্লান হয়ে যাচ্ছে দেশ বিরোধী গুটি কয়েক অবৈধ দূষণকারী ও দখলদার এবং তাদের সহযোগী হাতে গোনা কিছু জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য।
তুরাগ নদী রক্ষায় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সোমবার দেয়া রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র, জলাভ‚মি এবং বন্য প্রাণীর সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের নিমিত্তে পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ প্রতিষ্ঠাসহ এর চর্চা অব্যাহত রেখেছেন। সম্ভবত তিনিই বিশ্বের প্রথম সরকার প্রধান যিনি পরিবেশ রক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিবেশ, জলবায়ু ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ গ্রহন করে এর রক্ষা এবং উন্নয়নে নিয়ত কাজ করে চলেছেন।
তিনি বর্তমানে পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদের শীর্ষ স্থানীয় নেত্রী। পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদের তিনি বিশ্বনেত্রী। তার ধারে কাছেও বিশ্বের আর কোন রাষ্ট্র নায়ককে দেখি না। বরং দেখি প্রকৃতি, জলবায়ু ও পরিবেশকে জেনে, শুনে এবং বুঝে ধ্বংস করে সামরিক উন্নতির মাধ্যমে নিজেদের তথাকথিত উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রচার করার হাস্যকর দম্ভ। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
রায়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনা, দেশের জনগণের কল্যাণ, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পরিবেশ, জলবায়ু ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদের উন্নয়ন ইত্যাদিতে তার চলার পথ মসৃন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার তার জীবনের উপর সশস্ত্র হামলা মোকাবেলা করতে হয়েছে।
কারাবরণ করতে হয়েছে নয় বার এবং অসংখ্যবার দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। নির্দয়, হৃদয় ভাঙ্গা, অমানবিক জঘন্য মিথ্যা সমালোচনায় তার হৃদয় মন ক্ষত-বিক্ষত রক্তাত্ত করেছে এদেশেরই গুটিকয়েক সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী। কিন্তু বাংলাদেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার বৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী সকল সশস্ত্র হামলা, কারাবরণ এবং ষড়যন্ত্রকে জয় করে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং পাবলিক ট্রাস্ট সম্পদ রক্ষায় দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে চলেছেন।
‘জাতির পিতা বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত হত’
রায়ে বলা হয়, আমাদের জন্য এটা খুবই গৌরব এবং গর্বের বিষয় এই যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরদর্শী নেতৃত্বের কারনে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম রাষ্ট্র আমাদের দেশ বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে সংবিধানে গৃহীত ও কার্যকর করে পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
জাতির পিতা পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি করেন। রাষ্ট্র পরিচালনার সকল পর্যায়ে তিনি পরিবেশ এবং জলবায়ুকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন। যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন তাহলে অনেক আগেই বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের চেয়েও সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত হত।
রায়ে তুরাগ নদীকে আইনি ব্যক্তি/আইনি সত্তা/জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে হাইকোর্ট। একই মর্যাদা পাবে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবহমান সকল নদ-নদী।
একইসঙ্গে পাবলিক প্রপার্টি (জাতীয় সম্পত্তি) দখলকার ও দূষনকারী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে অন্তভর্‚ক্ত করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে এফিডেভিট আকারে অবহিত করতে ইসিকে নির্দেশ প্রদান করা হল।
২৮৩ পৃষ্ঠার এ রায়টি লিখেছেন কনিষ্ট বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল। একমত পোষণ করেছেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক ট্রাস্ট সম্পত্তি রক্ষায় সারা বিশ্বে অনুসূরনীয় ব্যাক্তিত্ব পরিণত হয়েছেন।
তার সকল কর্মপ্রচেষ্টা ম্লান হচ্ছে গুটিকয়েক অবৈধ দখলদার, দূষণকারী এবং তাদের সহযোগী হাতে গোনা কিছু জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদের বিশ্বনেত্রী। তার ধারে কাছেও আর কোন রাষ্ট্র নায়ককে দেখি না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের চেয়ে সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত হত।