নরওয়ের মসজিদে হামলাকারীকে জাপটে ধরে প্রশংসায় ভাসছেন
অনলাইন নিউজ: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মতো নরওয়ের রাজধানী অসলোর উপকণ্ঠে গত শনিবার আল নূর মসজিদে ২১ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ফিলিপ ম্যানশুয়াজ দুই হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মুসল্লিদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে।
এতে নামাজ পড়তে আসা ৭৫ বছর বয়সী এক মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হয়েছে গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু ঘটনা আরও ভয়াবহ হওয়ার আগেই জীবন বাজি রেখে আরেক মুসল্লি তাকে জাপটে ধরেন। খবর বিবিসির।এ সময় ওই শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী তাকে জাপটে ধরা মুসল্লি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকের (৬৫) ডান চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়।
কিন্তু তারপরও তিনি ওই সন্ত্রাসীকে ছাড়েননি। আর এ কারণেই সেদিন ক্রাইস্টচার্চের মতো বড় ধরণের হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পান মুসল্লিরা।
মুসল্লিদের জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাক বিমান বাহিনীর ওই কর্মকর্তা। তাকে বীর হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। স্থানীয় কমিউনিটির লোকজনও তাকে বেশ সম্মানের চোখে দেখছেন।
এ দিকে, ওই শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে দেশটির পুলিশ। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সৎবোনকে হত্যা ও মসজিদের মুসল্লিদের হত্যাচেষ্টারও অভিযোগ আনা হয় আদালতে।
গত সোমবার আদালতে আনা হলে আসামি ফিলিপ ম্যানশুয়াজের চোখ-মুখ আর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তদন্তের স্বার্থে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে পুলিশ আবেদন করলে তার আরও চার সপ্তাহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত শনিবার অসলোর বায়িরাম এলাকার আল নূর ইসলামিক সেন্টারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারীর মতো দুই হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে নরওয়ের নাগরিক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ফিলিপ ম্যানশুয়াজ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
পরে পুলিশ এসে হামলাকারীকে আটক করেছে তার বাড়িতে অভিযান চালালে সেখানে তার ১৭ বছরের সৎবোনের পড়ে থাকা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পুলিশের ধারণা বোনকে হত্যা করেই মসজিদে হামলা চালাতে যায় ওই হামলাকারী।
মসজিদ কমিটির পরিচালক ইরফান মুসতাক স্থানীয় পত্রিকাকে বলেন, হেলমেট ও ইউনিফর্মধারী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর গুলিতে এক মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।