প্রযুক্তির দাপটে বিলিন হচ্ছে মৃৃৎশিল্প - দৈনিক বরিশাল ২৪ দৈনিক বরিশাল ২৪প্রযুক্তির দাপটে বিলিন হচ্ছে মৃৃৎশিল্প - দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রকাশিতঃ জুলাই ০৩, ২০১৯ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
A- A A+ Print

প্রযুক্তির দাপটে বিলিন হচ্ছে মৃৃৎশিল্প

অনলইন নিউজ: মৃৎশিল্পীরা ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে নিপুন হাতে কারু কাজের মাধ্যমে মাটি দিয়ে তৈরি করে থাকেন নানা তৈজসপত্র। তাদের জীবন জীবিকার হাতিয়ার হলো মাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে তাদের ভালোবাসার জীবিকা ফিকে হতে বসেছে। দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে আধুনিকতা। আর এই আধুনিকতা বাড়ার সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি শিল্পপণ্যগুলো।

এক সময় মাটির তৈরি তৈজসপত্রের প্রচুর ব্যবহার ছিল । সেই তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র। এ সবের দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই। তাই টাকা বেশি হলেও এ্যালুমিনিয়াম ও প্লা¬স্টিকের তৈরি তৈজস পত্রই কিনে থাকে সাধারণ মানুষেরা। কাঁচ,প্লাস্টিক আর মেলামাইনের ভিড়ে এখন মাটির তৈরি ঐ জিনিসপত্র গুলো প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পাড়ছে না।সেই সাথে এই শিল্পের সাথে জড়িতের জীবন ধারনও কঠিন হয়ে পড়ছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রতিভাবান টাঙ্গাইলের মৃৎ শিল্পীরা।ফলে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের মৃৎশিল্প।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুরে ৩০টি পরিবার, সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইনিয়নের গমজানীতে ২০ টি পরিবার এবং ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা কুমার পাড়ায় ২০০ টি কুমার পরিবার বসবাস করছে।তারা দিন রাত একাকার করে মাটি দিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন মৃৎ-পণ্য।এই সব মৃৎ শিল্পীরা মাটি দিয়ে তৈরি করছেন পুতুল, ফুলের টব, কুয়ার পাত, হাঁড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পরে সেগুলোকে তারা শহরের দোকান এবং বাসা বাড়িতে বিক্রয় করে থাকেন কিন্তু এখন মৃৎ শিল্পের ব্যবহার তেমন চোখেই পরে না।

আগে টাঙ্গাইলের মিষ্টি মাটির পাত্রে বিক্রি করা হত। বর্তমানে এক মাত্র দৈ ছাড়া অন্য কোন মিষ্টান্ন বিক্রির ক্ষেত্রে মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয় না ।এখন সৌখিন জিনিসপত্র এবং কুয়ার পাতই একমাত্র ভরসা।কিন্তু সঠিক দাম নাম পাওয়ায় আর বর্তমান অবস্থায় কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে এ সকল কারিগররা। বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন উৎসব, মেলায় তৈরি খেলনা পুতুল ছাড়া অন্য কোন মৃৎ শিল্পের গ্রাহক নেই বললেই চলে। অ্যালুমিনিয়াম, প্ল¬াস্টিক ও স্টিলের জিনিসপত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির মুখে পড়েছে। এ পেশায় জড়িত বিশেষ করে এটাই যাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন তাদের জীবনযাপন একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুরের জয়ীতা পাল বলেন, বর্তমানে এলুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের কারনে মাটির তৈরী জিনিস পত্র চলে না। ফলে আমাদের জীবন ধারন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবুও দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জন্য আমরা এই কাজ করে যাচ্ছি। সরকার যদি সুদ মুক্ত ঋনের ব্যবস্থা করতো তা হলে বাপ-দাদার এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারতাম। পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারতাম।

মৃৎ শিল্পে সরকারী সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সহকারী মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, বিসিক টাঙ্গাইল এর শাহনাজ বেগম বলেন,কালের বির্বতনে মৃৎ শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা বিসিক থেকে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় বিভিন্ন কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকি।বাজারজাত করনে যে অসুবিধা আছে আমাদের কাছে আসলে সঠিক দিক নির্দেশনা ও দক্ষ কারিগর তৈরী করতে বিসিক থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের এই মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বিসিক।

দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রযুক্তির দাপটে বিলিন হচ্ছে মৃৃৎশিল্প

বুধবার, জুলাই ৩, ২০১৯ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

অনলইন নিউজ: মৃৎশিল্পীরা ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে নিপুন হাতে কারু কাজের মাধ্যমে মাটি দিয়ে তৈরি করে থাকেন নানা তৈজসপত্র। তাদের জীবন জীবিকার হাতিয়ার হলো মাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে তাদের ভালোবাসার জীবিকা ফিকে হতে বসেছে। দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে আধুনিকতা। আর এই আধুনিকতা বাড়ার সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি শিল্পপণ্যগুলো।

এক সময় মাটির তৈরি তৈজসপত্রের প্রচুর ব্যবহার ছিল । সেই তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র। এ সবের দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই। তাই টাকা বেশি হলেও এ্যালুমিনিয়াম ও প্লা¬স্টিকের তৈরি তৈজস পত্রই কিনে থাকে সাধারণ মানুষেরা। কাঁচ,প্লাস্টিক আর মেলামাইনের ভিড়ে এখন মাটির তৈরি ঐ জিনিসপত্র গুলো প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পাড়ছে না।সেই সাথে এই শিল্পের সাথে জড়িতের জীবন ধারনও কঠিন হয়ে পড়ছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রতিভাবান টাঙ্গাইলের মৃৎ শিল্পীরা।ফলে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের মৃৎশিল্প।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুরে ৩০টি পরিবার, সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইনিয়নের গমজানীতে ২০ টি পরিবার এবং ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা কুমার পাড়ায় ২০০ টি কুমার পরিবার বসবাস করছে।তারা দিন রাত একাকার করে মাটি দিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন মৃৎ-পণ্য।এই সব মৃৎ শিল্পীরা মাটি দিয়ে তৈরি করছেন পুতুল, ফুলের টব, কুয়ার পাত, হাঁড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পরে সেগুলোকে তারা শহরের দোকান এবং বাসা বাড়িতে বিক্রয় করে থাকেন কিন্তু এখন মৃৎ শিল্পের ব্যবহার তেমন চোখেই পরে না।

আগে টাঙ্গাইলের মিষ্টি মাটির পাত্রে বিক্রি করা হত। বর্তমানে এক মাত্র দৈ ছাড়া অন্য কোন মিষ্টান্ন বিক্রির ক্ষেত্রে মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয় না ।এখন সৌখিন জিনিসপত্র এবং কুয়ার পাতই একমাত্র ভরসা।কিন্তু সঠিক দাম নাম পাওয়ায় আর বর্তমান অবস্থায় কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে এ সকল কারিগররা। বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন উৎসব, মেলায় তৈরি খেলনা পুতুল ছাড়া অন্য কোন মৃৎ শিল্পের গ্রাহক নেই বললেই চলে। অ্যালুমিনিয়াম, প্ল¬াস্টিক ও স্টিলের জিনিসপত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির মুখে পড়েছে। এ পেশায় জড়িত বিশেষ করে এটাই যাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন তাদের জীবনযাপন একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুরের জয়ীতা পাল বলেন, বর্তমানে এলুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের কারনে মাটির তৈরী জিনিস পত্র চলে না। ফলে আমাদের জীবন ধারন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবুও দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জন্য আমরা এই কাজ করে যাচ্ছি। সরকার যদি সুদ মুক্ত ঋনের ব্যবস্থা করতো তা হলে বাপ-দাদার এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারতাম। পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারতাম।

মৃৎ শিল্পে সরকারী সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সহকারী মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, বিসিক টাঙ্গাইল এর শাহনাজ বেগম বলেন,কালের বির্বতনে মৃৎ শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা বিসিক থেকে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় বিভিন্ন কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকি।বাজারজাত করনে যে অসুবিধা আছে আমাদের কাছে আসলে সঠিক দিক নির্দেশনা ও দক্ষ কারিগর তৈরী করতে বিসিক থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের এই মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বিসিক।

প্রকাশক: মোসাম্মাৎ মনোয়ারা বেগম। সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা। সম্পাদক : শামিম আহমেদ যুগ্ন-সম্পাদক : মো:মনিরুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টা: মোসাম্মৎ তাহমিনা খান বার্তা সম্পাদক : মো: শহিদুল ইসলাম ।
প্রধান কার্যালয় : রশিদ প্লাজা,৪র্থ তলা,সদর রোড,বরিশাল।
সম্পাদক: 01711970223 বার্তা বিভাগ: 01764- 631157
ইমেল: sohelahamed2447@gmail.com
  বরিশালে পাঁচ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে পুলিশের ত্রাণ বিতরণ   ইপিজেড থানা যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত   দৈনিক বরিশাল২৪.কম-এর সম্পাদক শামীম আহমেদ অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি   বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বরিশালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সক্রিয় ট্রাফিক পুলিশ   “সাংবাদিকদের সক্রিয় রাজনীতিতে না আসাই ভাল”–মজিবর রহমান সরোয়ার   পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন বরিশালের কৃতিসন্তান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান   বানভাসীদের সহযোগিতায় এক দিনের বেতন দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়কোহামা লেভেলস এন্ড প্রিন্টিং (বিডি) লিমিটেড   বরিশালে শ্রমীক লীগ নেতার ইসলামী আন্দোলনে যোগদান   বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এরো চট্টগ্রামের ধানসিঁড়ি আদর্শ কেজি স্কুল   বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এলো ধানসিঁড়ি আদর্শ কেজি স্কুল   বন্যাদূর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত   খাগড়াছড়িতে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী   বোট নিয়ে চট্টগ্রামের নিউমুরিং থেকে উদ্ধার টিম নোয়াখালীতে পৌছাল   বরিশালে দুর্গোৎসবের টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বন্যার্তদের জন্য দান   বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে সেনা মোতায়েন   চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস উদ্বোধন   বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দলনে নিহত শান্ত ও রাকিবের কবর জিয়ারত করলেন বরিশাল জাপার নেতৃবৃন্দ   রাস্ট্র সংস্কারে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবেঃ ইকবাল হোসেন তাপস   রাস্তায় লাঠি হাতে ছাত্রলীগকে মানুষ পছন্দ করেনি, অন্য কাউকেও দেখতে চায় নাঃ তাপস