ফাইনালে আজ ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশের যুবারা

অনলাইন নিউজ: সিনিয়র ক্রিকেটে ভারতের বাধার সামনে বাংলাদেশের বারবার আটকে পড়ার দৃশ্য নতুন নয়। অনেকবারই ভারতের বিরুদ্ধে তীরে এসে তরী ডুবেছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে এশিয়া কাপের দুই আসরের (২০১৬, ২০১৮) ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছিল মাশরাফি বিন মুতর্জার দল।
এবার যুব ক্রিকেটেও ট্রফির মঞ্চে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে আজ ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লন্ডনের ব্রাইটনে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়।
ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও ভারতের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। দল হিসেবে বাংলাদেশের যুবারাই ভালো ছন্দে আছে। প্রথম পর্বে সর্বোচ্চ চারটি জয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে উঠেছে আকবর আলীর দল। কন্ডিশন বিরুদ্ধ হলেও সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিল টাইগার জুনিয়ররা। তিনটি জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতীয় যুবারা। মাত্র দুটি জয় পাওয়া ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠতে পারেনি। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৫ পয়েন্ট।
ফাইনালের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য বাংলাদেশ-ভারতের অবস্থান সমান। প্রথম পর্বে দুই দলের চার ম্যাচের মধ্যে দুটিই বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছে। বাকি দুই ম্যাচে একটি করে জয় রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের। আজ ফাইনালে তাই লড়াইটা জমজমাট হওয়ার কথা। যুব পর্যায়ে হলেও ফাইনালে স্নায়ুর চাপ যে দল ভালোভাবে সামাল দিতে পারবে তাদের হাতেই উঠবে ট্রফি। মানসিক চাপ দূরে রেখে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশ নির্ভর করবে তৌহিদ হূদয়, তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, অধিনায়ক আকবর আলীর উপর। ৭ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরিতে ৩২০ রান করে ত্রিদেশীয় সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তৌহিদ হূদয়। বোলারদের শীর্ষেও বাংলাদেশের যুবারা। তানজিম হাসান সাকিব ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন।
আরো পড়ুন : ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আজহা কাল
ব্যাটে-বলে প্রথম পর্বের মতো ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পারলে আজ ফাইনাল জিতে ট্রফি নিয়েই দেশে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ যুব দল।
এদিকে গত শুক্রবার সফররত বাংলাদেশ যুব দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম তরুণ ক্রিকেটারদের স্বাগত জানান এবং ফাইনালে দলের জন্য শুভকামনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্ম দিনে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া হাইকমিশনার শোকের মাস আগস্ট উল্লেখ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।