ফুটবল লড়াইয়ে কোপার সেমিতে ব্রাজিল
পোর্তো আলেগ্রেতে শেষ আটের ম্যাচে প্যারাগুয়েকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। শেষ দু’বার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল, দু’বারই প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল তারা।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে একচেটিয়া বল দখলে রেখে আক্রমণাত্মক খেলে ব্রাজিল। তবে শুরুর ছন্দ প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ধরে রাখতে পারেনি তারা। বিরতির আগে উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগও পায়নি দলটি।
নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে ওঠা প্যারাগুয়ে ২৯তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায়। সান্তোসের ফরোয়ার্ড দেরলিস গনসালেসের জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বড় ধাক্কা খায় প্যারাগুয়ে। ৫৪তম মিনিটে ফাবিয়ান বালবুয়েনা তাদের ডি-বক্সের মুখে রবের্তো ফিরমিনোকে ফাউল করলে প্রথমে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পাল্টে ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ডিফেন্ডার বালবুয়েনাকে দেখান সরাসরি লাল কার্ড।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে স্বাগতিকরা। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সবই যাচ্ছিল ভেস্তে। ৭৪তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগটি পান গাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু ছোট ডি-বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর এভেরতনের শট একজনের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
শেষে ট্রাইবেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে প্রথম শটে প্যারাগুয়ের অধিনায়ক গুস্তাভো গোমেজের শট ফিরিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। প্রথম শটেই দলকে লিড এনে দেন উইলিয়ান। এরপরের দুই শটে গোল করে দু’দলই; ব্রাজিলের হয়ে জাল খুঁজে পান মার্কিনহোস এবং ফিলিপ কুতিনিয়ো; প্যারাগুয়ের হয়ে গোল করেন রোহাস এবং ভালদেজ। ৪র্থ শটে গোল করতে ব্যর্থ হন রবার্তো ফিরমিনো। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের মত বাইরে মারেন ডার্লিস গঞ্জালেজ। ‘স্কোর টু উইন’ পঞ্চম পেনাল্টি জালে পাঠিয়ে ১২ বছর পর কোপায় ব্রাজিলের সেমিফাইনাল যাত্রা নিশ্চিত করেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস।