বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় জিয়াউর রহমান জরিত নয়: বিএনপি মহাসচিব
অনলাইন নিউজ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নয় বরং আওয়ামী লীগের নেতারাই জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত- সরকারের মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘকাল ধরেই তারা এই ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন।
এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি কোনো মতেই কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ইতিহাসে তা প্রমাণিত। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জড়িত ছিল আওয়ামী লীগের লোকেরাই। যারা পরে সরকার গঠন করেছে, পার্লামেন্টে গেছে।
বিএনপি কোরবানির পশুর চামড়া কিনে ফেলে দিয়েছে- শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চামড়ার দর নিয়ে সিন্ডিকেট করে কারসাজি করা হয়েছে। কোথাও জনগণের প্রতিনিধি নেই বলেই এ ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলা ছাড়া তাদের তো আর কোনো কিছু করারও নেই। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই চামড়ার বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে অর্বাচীনের মতো বক্তব্য দিচ্ছে সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্করের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে ফখরুল বলেন, আমরা গত ১০-১২ বছরে শুনলাম- আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে। তো এখন পর্যন্ত তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাইনি।
ত্রিপুরায় বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভারত সরকারের বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খবর আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এটাতে রাজি হয়নি। রাজি হওয়ার প্রশ্নই নেই। কারণ আমার দেশের জমি অন্য কাউকে দেয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আবদুল আউয়াল খান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, যুবদলের সাইফুল আলম নীরবসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।