বরিশালে জাপায় সংঘর্ষঃ ব্যানারে রওশনের ছবি ব্যবহারই মূল কারণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতার ছবি না থাকার কারণ বলা হলেও বেরিয়ে আসছে নেপথ্যের আসল রহস্য। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর মধ্যকার চলমান বিরোধ বরিশালে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংগঠনিক সভার ব্যানারে রওশন এরশাদ এর ছবি ব্যাবহার নিয়ে দিনভর জিএম কাদের পন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জেলা কমিটির সভা হলেও এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সাধারণ সম্পাদক এমএ জলিল কে। অপর দিকে মহানগর জাপার আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল সভাস্থলে যোগদান করে ব্যানারে বেগম রওশন এরশাদ এর ছবি দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হন।ওই ব্যানার খুলে ফেলতে বারবার অনুরোধ করলেও একেএম গোলাম মোর্তজা আবেদিন এতে কর্ণপাত করেনি। সভায় শুরু হয় হট্টগোল তারপর দুই পক্ষের সংঘর্ষ।
দলের সূত্র জানায়, জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সারাদেশের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ঠিক এমন সময় ঘটা করে বরিশালে জেলা জাপার সাংগঠনিক সভার নামে মুলত রওশন এরশাদ কে দেখাতে চাচ্ছেন সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার।
জিএম কাদেরপন্থী নেতাকর্মীদের তুমল হট্টগোলের মধ্যে পন্ড হয়ে যায় সাংগঠনিক সভা। তোপের মুখে পরেন সাবেক মহাসচিব। পরে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও একেএম গোলাম মোর্তজার মধ্যেকার দন্দের কথা সামনে এনে রওশন এরশাদ এর ছবির বিষয় টি কৌশলেএড়িয়ে যান। অপর দিকে তাঁর অনুসারীরা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও ইকবাল হোসেন তাপস এর ছবি না থাকার প্রচারনা চালান।
জাপা সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বের প্রতি বরিশাল মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন তাপস সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ একাট্টা থেকে ে পর্যন্ত একাধিক মিছিল মিটিং করে।
হঠাৎ করে জেলা কমিটি সাংগঠনিক সভার নাম দিয়ে ব্যানারে রওশন এরশাদ এর ছবি যুক্ত করাকে তীব্র সন্দেহের সৃষ্টি করে। আর এ থেকেই জিএম কাদেরপন্থীরা সভা ঠেকানোর চেষ্টা চেষ্টা করে। ঘটনা আঁচ করতে পেরে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সভাস্থলও পরিবর্তন করে সার্কিট হাউস এর পরিবর্তে কীর্তনখোলা মিলনায়তনে সভা করা সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, বরিশালের ঘটনা জানাজানি হলে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা জাপার নেতারা। চলতি সপ্তাহে দুটি সাংগঠনিক সভা ডাকা হলে এ পরিস্থিতিতে তা স্থগিত করা হয়েছে।