বরিশালে ট্রাকচালক হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই তিন খুনী গ্রেপ্তার
শামীম আহমেদ: বরিশাল শহীদ আব্দুর বর সেরনিয়াবাত বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনালে পিকাপভ্যান চালক মোঃ উজ্জল হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
আটকৃত তিনজনই হত্যার দায় স্বিকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১লা আগস্ট বৃহস্পতিবার নগরের কাশিপুর এলাকার বরিশাল শহীদ আব্দুর বর সেরনিয়াবাত বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনালে বালু চাপা দেওয়া উজ্জল নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উজ্জল ওই এলাকার আব্দুর রব সিকদারের ছেলে এবং পেশায় একজন পিকাপভ্যান চালক।
উজ্জল নিহত হওয়ার ঘটনায় তার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পেক্ষিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মুল হত্যাকারী নগরের আলেকান্দা এলাকা থেকে মোঃ সোহাগ কে আটক করা হয়। সে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার ফুলঝুড়ি এলাকার মোঃ জালাল হাওলাদারের ছেলে এবং শহীদ আব্দুর বর সেরনিয়াবাত বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনালের সাব- কন্ট্রাকটর হিসেবে কর্মরত ছিলো।
হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনের পর আজ রোবার (৪ই আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের আমলার মোড়রস্থ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ট্রাক টার্মিনালের বালু, সিমেন্ট , রড চুরি করে বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনালের সাব- কন্ট্রাকটর মোঃ সোহাগ ও ওই টার্মিনালের শ্রমিক রবিউল ও রমজান মিলে উজ্জলের পিকআপে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার কাজে জড়িত ছিল। মুলত টাকা
পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সুষ্টি হয়। আর এর জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোহাগ , রমজান ও রবিউল মিলে তাকে গলাকেটে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টার্মিনালের পাশে বালুর মধ্যে চাপা দিয়ে রাখে।
পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, পিকাপভ্যান চালক উজ্জল হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার ও এয়ারপোর্ট থানার (ওসি তদন্ত) এ.আর.মুকুল সহ তার সহযোগী ফোর্স ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এঘটনার সাথে জড়িত সোহাগ ও রমজানকে ঢাকার সদরঘাট থেকে আটক করা হয়েছে।
এর মধ্যে রবিউল কালকিনি এলাকার ইদ্রিস ফরিকরের ছেলে এবং রমজান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার আনোয়ারের ছেলে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি, রক্তমাখা জামাকাপড় এবং দুটি বেলছা উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোক্তার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবু সালেহ মোঃ রায়হান,উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,উপ-পুলিশ কমিশনার (স্টেট কোতয়ালী মডেল থানা) সালেহ উদ্দিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ খায়রুল আলম,সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট থানা) মোঃ হালিম,এয়ারপোর্ট থানা ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম
ও অত্র মামলার তদন্তকারী অফিসার (ওসি তদন্ত) এ.আর মুকুল সহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শামীম আহমেদ/ দৈনিক বরিশাল ২৪.কম