বরিশালে তাদের পেশাই হল তালাভাঙ্গা, পুলিশের তৎপরতায় অসত স্বপ্নভঙ্গ

শামীম আহমেদ: বরিশালে বিপুল পরিমান চোরাই মালামালসহ তালাভাঙ্গা চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। যারা বরিশাল নগরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাও চুরি সংঘঠিত করে আসছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ সংক্রান্তে সোমবার (০৫ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরের চাঁদমারিস্থ অফিসার্স মেসের সভাকক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহবুদ্দিন খান বলেন, হঠাৎ করেই বরিশাল নগরে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পায়। যার সূত্র ধরে মেট্রোপদিক্ষিন বিভাগ ও মডেল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে নামে। যার ধারাবাহিকতায় সংঘবদ্ধ চোরদের মূল হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলো, নগরের নিউ ভাটিখানা এলাকার বেপারী বাড়ীর বাসিন্দা ও চোরচক্রের অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেন (২৭), একই এলাকার বেপারী বাড়ীর বাসিন্দা মোঃ রিয়াদ (২৫), আমানতগঞ্জ এলাকার জিতু আহম্মেদ (৪০), পলাশপুর এলাকার তহিদুল ইসলাম (২৮), আজগর আলী সড়কের কবির গাজী (২৫), ভাটিখানা এলাকার রনি (১৯), কাটপট্টি এলাকার বাসিন্দা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যামল দে (৫৮) এবং বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার গিলাতলী মিরাবাড়ীর আলিফ (২৪)।পুলিশ কমিশনার বলেন, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মোঃ আকরামুল হাসান এর নেতৃত্বে ৪ আগষ্ট দিন ও রাত মিলিয়ে চলমান অভিযানে শহরের চোর চক্রের সদস্যদের আটকের পাশাপাশি এদের কাছ থেকে বিপুল চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এগুলোর মধ্যে ১৫ টি মোবাইল সেট, ৪ টি ল্যাপটপ, ১ টি ট্যাব, ১ টি ডিএসএলআর ক্যামেরা, ১ টি হ্যান্ডি ক্যামেরা, ২ জোড়া স্বর্ণের বালা, ১ টি স্বর্ণের চেইন, ৫ টি ছোট স্বর্ণের আংটি, ৭ টি স্বর্ণের নাকফুল, নগদ ১ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১ টি কম্পিউটার কি বোর্ড, ১ টি কডলেস মাউথ স্পিকার, ৩ টি তালা ভাঙ্গার সরঞ্জাম রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এরা মূলত দিনের বেলা এবং সন্ধ্যায় বিভিন্ন বহুতল ভবনে চুরি করে। কখনো টিভি, কখনো ফ্রিজের, কখনো এসির মেকার আবার কখনো ইলেকট্রিশিয়ান বা কাপর ব্যবসায়ি সেজে ভবনগুলোর ভেতরে যায়।
এরপর তালাবদ্ধ ফ্লাট বা বাসায় চুরি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ক্যামেরা, ল্যাপটপসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিতো তারা। এরা তালা ভাঙ্গতে খুবই পারদর্শী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার আওতাধীন এলাকায় ৮ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। যে ঘটনায় থানায় ভূক্তভোগীরা লিখিত অভিযেগে দেয়।