বরিশালে থামছে না বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মানুষের মৃত্যু
শামীম আহমেদ: বরিশাল বিভাগ জুড়ে প্রতিদিনই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাচ্ছেন মানুষ। এ বিভাগে চলতি জুলাই মাসে পাঁচ শ্রমিক, দুই শিক্ষার্থী ও কৃষক দম্পতিসহ ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা জানান, মানুষের অসাবধানতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।
বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি জুলাই মাসে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার চরগাধাতলী মহল্লার এইচএসসি পরীক্ষার্থী সুরাইয়া জান্নাত খাদিজা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যুবরণ করে সে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্টে সাহেব আলী সিকদার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামে।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মিলন হোসেন নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়। মিলন উপজেলার সূর্য্যপাশা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে।
উপজেলার বাড়ির ছাদে পল্লী বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান মগড় ইউপি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রায়হান।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষক কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম নিজ বসতবাড়ি সংলগ্ন পাট ক্ষেতে ছিঁড়ে পড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
বানারীপাড়া থানা কমপ্লেক্স সংলগ্ন নির্মাণাধীন একটি ভবনে রড তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিক শহিদুল ইসলাম খান, নগরীর রুপাতলীতে মাহাতাব হোসেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জামাল হাওলাদারের মৃত্যু হয়।