বরিশালে মামলার কপি নিয়ে আর ট্রাফিক অফিসে যেতে হবেনা
শামীম আহমেদ: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) তে উদ্বোধন হয়েছে “ই- ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম”। যারমধ্য দিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ডিভাইজে মামলা করবে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
সোমবার (০৫ আগষ্ট) বেলা ৩ টায় বরিশাল নগরের চাঁদমারী এলাকার অফিসার্স মেস প্রাঙ্গনে বেলুন ও ফ্যাষ্টুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম(বার)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খাইরুল আলমের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
উদ্বোধন শেষে অফিসার্স মেস প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। যা বান্দরোড হয়ে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে সেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে পজ মেশিনের সাহায্যে মামলা দায়ের এবং তাৎক্ষনিক ইউক্যাশ এজেন্টের সহায়তায় জরিমানার টাকা পরিশোধের মাধ্যমে “ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম” এর যাত্রা শুরু করা হয়।
এরআগে অফিসার্স মেসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান শেষে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সাথে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এর আগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতের আধুনিক এ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষন দেয়া হয় ট্রাফিক বিভাগের ৪০ জন সদস্যকে।
ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খাইরুল আলম বলেন, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম” নামক প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ পুরোপুরি ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলো।
বর্তমানে ম্যানুয়াল ও সনাতন পদ্ধতিতে ট্রাফিক পুলিশকে মামলাদায়ের ও জরিমানা আদায় করতে হয়। এতে চালকসহ সাধারণ মানুষের মনে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়। যা নিয়ে পুলিশের সাথে বচসা করেও সময় নষ্ট করেন অনেকে।
কিন্তু ডিজিটাল এ প্রযুক্তি মাধ্যমে মামলার কপি নিয়ে যানবাহন চালক বা মালিককে ট্রাফিক অফিসে কিংবা ব্যাংকে গিয়ে আগের মতো লাইনে দাড়াতে হবে না। আর আমরাও কেউ কোন ধরণের কারচুপি করতে পারবো না।
তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সাথে সাথে মেশিন থেকেই জরিমানার স্লিপ বেড় হয়ে আসবে। যা নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিক জরিমানার অর্থ শোধ করে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
এতে যেমন ট্রফিক পুলিশের সময় সাশ্রয় হবে, তেমনি জনগনের সন্দেহও দুর হবে। প্রাথমিকভাবে ইউসিবি ব্যাংকের ইউক্যাশের মাধ্যমে মামলার জরিমানার টাকা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে পরিশোধ করতে পারবেন বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচলরত যানবাহন চালক-মালিকরা।
তিনি বলেন, ইউক্যাশ কর্তৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিত করেছেন বরিশালে ৪৩ পয়েন্টে তাদের এজেন্টদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যেগুলো শুরুর দিন থেকেই ব্যবহার করতে পারবেন যানবাহন চালক ও মালিকরা।
উল্লেখ্য ম্যানুয়াল পদ্বতিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে প্রতিমাসে গড়ে সর্বোন্মি আড়াই হাজার ও সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২ শত মামলা দায়ের করেছে।