বরিশালে সড়ক ও নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগীতা করবেননা: ডিসি অজিয়র রহমান
মো: জিহাদ রানা: সড়ক ও নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগীতা করবেননা বলে চালকদের সতর্ক করে দিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেছেন,আমরা কেহ অপ্রত্যাশিত ঘটনার স্বীকার হতে চাইনা। মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঈদ যাত্রা করবে।
এখানে সড়ক ও নৌ পথে চালকরা এক ধরনের প্রতিযোগীতায় লেগে পড়েন। এতে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। তাই এসব অসুস্খ প্রতিযোগীতা থেকে বিরত থাকার জন্য পরিবহন ও নৌযান চালক ও মালিকদের আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, যার যার অবস্থান থেকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। একে অপরের ঘারে দোষ না চাপিয়ে কোরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন ও আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টার্মিনালে যাত্রী হয়রানি করা যাবে না এবং খেয়াল রাখতে হবে ভাড়া যেন না বাড়ে।
এসময় তিনি বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন কোন বাস চালক একনাগারে ২৪ ঘন্টা গাড়ি না চালায়।
সভায় জানানো হয়, বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চের তুলনায় টার্মিনালের জায়গা সংকট রয়েছে। পল্টুন কম থাকার কারণে এ সমস্যার ফলে একসঙ্গে ১০ থেকে ১২টি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করতে পারবে না।
সভায় স্পেশাল সার্ভিসের সময় নদীপথে বালুবাহী বাল্কহেডসহ ঝুকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা, সরু চ্যানেলে (মিয়ারচর) পাশাপাশি দু’টি লঞ্চ চলাচল না করা, নদী তীরের সিগনাল বাতিসহ সাংকেতিক চিহ্ন ঠিক রাখা এবং নদীর মধ্যে কোনো লঞ্চ না থামানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অপরদিকে সড়ক পথের জন্য সভার উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- ফিটনেসবিহীন মোটরযান সড়কে চালনা এবং এতে যাত্রী পরিবহন না করা, অনবিজ্ঞ ও লাইসেন্সবিহীন চালক-হেলপার দিয়ে মোটরযান চালনা থেকে বিরত থেকে ওভারলোডে যাত্রী পরিবহন না করা, চালকদের সময়মতো বিশ্রাম নিতে দেওয়া, ভাড়া ঠিক রাখা, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ ও পুলিশ প্রশাসন আলাদা ও যৌথভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা।
অপরদিকে দুর্ঘটনা বা অসুস্থজনিত কারণে যাত্রীদের উদ্ধার ও হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম মাঠপর্যায়ে কাজ করবে।
এছাড়া নদী বন্দর ও বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বসার জন্য অতিরিক্ত যাত্রী ছাউনি নির্মাণ ও বিশুদ্ধ পানি এবং মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
সভার শেষে ভেজাল পণ্য ও বাজার দর নিয়ন্ত্রনে রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।