বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ১৮ জন এইচএসসি’র শিক্ষার্থীর এখনও ফল প্রকাশ হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১৭ই জুলাই সদ্য প্রকাশিত (২০১৭-১৮) এইচ.এস.সি পরিক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষাথীর ১৮ জন ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থীর ফলাফল রহস্যজনকভাবে আজ পর্যন্ত প্রকাশিত না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তদের সন্তানদের ভবিৎসতের চিন্তায় আতংকিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
এ কারনেই তারা এর রহস্য কি জানান জন্য আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১২ টায় বরিশাল শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিরুদ্বে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন অভিভাবকগন।
স্থগিত হয়ে থাকা শিক্ষার্থী বাহাউদ্দিন মোঃ সিফাত এর পিতা মোঃ মাহাবুব আলম,শিক্ষার্থী নুসরাত কবীরের পিতা, এস.এম নুরুল কবীর,সাইনুর রহমান এর মামা বরিশাল স্থনীয় দৈনিক দেশ জনপদ পত্রিকার সম্পাদক মির্জা রিমন,অনিল নাথ শুভ পিতা, বাসু দেব রায়,অমিত চক্রবর্তীর পিতা,অনিল রায়, সাজ্জাদুল ইসলামের পিতা,মোঃ সফিকুল ইসলাম,সাদিয়া ইসলামের পিতা সফিকুল ইসলাম চান সহ সকল অভিভাবক সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করার মাধ্যমে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্বে অভিযোগ তুলে ধরেন বাহাউদ্দি মোঃ সিফাতের পিতা মোঃ মাহাবুব আলম তিনি বলেন, গত ১৭ই জুলাই এইচ.এস.সি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলে তাদের সন্তানদের ফলাফল দেখতে না পেয়ে তারা ১৮ই জুলাই আবেদনের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করেন।
পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানায় ২৪ জুলাই শিক্ষা বোর্ডের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভার পরে উক্ত ১৮ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে তাদেরকে আশ্বাষ দেন পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক আনায়ারুল আযিম।
তাদের কথামত ১৮ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ২৪ ই জুলাই তারিখের অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকি এক প্রর্যায়ে ২৫ জুলাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটে দেখা যায় পূর্বের ন্যায় তাদের সন্তানদের ফলাফল স্থগিত (উইথেলড) রয়েছে।
পরবর্তীতে পুনরায় বোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক আনায়ারুল অযিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তখন বলেন আমরা শিঘ্রই স্থগিত হয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের বোর্ডে ডাকবো।
গত ১লা আগস্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বোর্ড থেকে বলা হয় ৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে ১০ টায় উক্ত স্থগিত হয়ে থাকা শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে বোর্ডে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়।
এসময় আমরা জানতে পারি শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাবাদের জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে যেখানে রয়েছে বোর্ডের চেয়ারম্যান,পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, বোর্ড সচিব সহ অভিযোগকৃর্ত প্রধান পরিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রর্যায়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত উক্ত শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞসাবাদ কালে তারা জানতে চান উচ্চতর গনিত প্রথম পত্রেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, কেন অধিকতর নাম্বার পেয়েছে এবং বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে তাদের কোন সখ্যতা রয়েছে কিনা।
শিক্ষার্থীরা তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন তাদের সাথে কারোর সম্পর্ক নেই এবং তাদের বিরুদ্বে আনা অভিযোগ অস্বিকার করেন।
এসময় বোর্ড চেয়ারম্যান ও পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলেন তোমরা যদি বোর্ডের গবিন্দের নাম না বলো তাহলে তোমাদের রেজাল্ট বাতিল করা হবে।
এতই তারা থেমে থাকেনি বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত কবীর নামের এক ছাত্রী চেয়ারম্যানের বিশেষ রুমে নিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনা হয়।
এমনকি নুসরাতকে লিখিত দিতে বাদ্য করে যে, গবিন্দকে দিয়ে তারা অসদুপায় অবলম্বন করা হয়েছে।
এব্যাপারে পুনরায় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এবার বলেন ৮ই আগস্ট এইচ.এস.সি ফলাফল প্রকাশ করবে বলে তাদেরকে পুনরায় আশ্বস্ত করেন।
কিন্তু এবারো দেখা যায় তাদের সন্তানদের ফলাফল ঘোষনা করা হয়নি। এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের প্রশ্ন শিক্ষাবোর্ডের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের কারনে কেন তাদের সন্তানদের পরিক্ষার ফলাফল স্থগিত করে রাখার মাধ্যমে তাদের ভবিষৎ নষ্ট হবে।
এসময় তারা কান্না কন্ঠে বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেসময়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেদের দ্বন্ধের বোঝা কেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বহন করবে।
এব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রী,শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ১৮জন কোমলমতি ছেলে-মেয়ের শিক্ষা জীবন নষ্ট না হয় তার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা ।
এব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুস এর স্যারের মুঠো ফোন- ০১৭১২৫৫৬৮৪৪ একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার কোন জবাব জানা পাওয়া যায়নি।