বানারীপাড়ায় লোহার ব্রিজ নয় যেন মরণ ফাঁদ, দেখার কেউ নেই
শামীম আহমেদ: বানারীপাড়ায় লোহার ব্রিজ নয় যেন মরণ ফাঁদ, দেখার কেউ নেই এমন অবস্থায় রুপ নিয়েছে।ওই ব্রিজ শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসীর চলাচলে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ব্রিজটি দিয়ে চলাচলের সময় শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ সহ সবাই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। গত কয়েক বছর পূর্বে বাল্কহেডের ধাক্কায় লোহার এ ব্রিজটির মাঝের অংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসী বার বার আবেদন-নিবেদন করলেও ব্রিজটি মেরামত বা পুর্ননির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ফলে নিরুপায় হয়ে স্থানীয়রা ব্রিজের ভাঙ্গা ওই অংশে বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরী করে চলাচল করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে উদয়কাঠি ইউনিয়ন প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুরভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা ও বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে।
এমনকি পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠি) উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই ব্রিজটি পেড়িয়ে তাদের বিদ্যাপিঠে যাওয়া-আসা করে।
এছাড়াও কয়েকটি গ্রামের মানুষকে এই (মরণ ফাঁদ) ব্রিজটি পেরিয়ে স্থানীয় উদয়কাঠি বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ, বন্দর বাজার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত যেতে-আসতে হয়। ব্রিজটি দিয়ে চলাচলে অন্তঃসত্ত্বা নারী,কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ভোগান্তি বেশী পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে উদয়কাঠি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচলে শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তিনি বেহাল হয়ে পড়া জনগুরুত্বপূর্ণ আয়রণ ব্রিজটি মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।