ভোলায় জোয়ারে প্লাবিত লঞ্চ-ফেরিঘাট, দুর্ভোগে জনসাধরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। লঞ্চ কিংবা ফেরির পন্টুনে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। খবর বাংলানিউজ
এদিকে, পানিতে ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ঘাট থেকে ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছে না কোনো যানবাহন। এতে ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছেনা কোনো যানবাহন বা পণ্যবাহী ট্রাক। এতে চরমভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর থেকে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
বাংলানিউজকে তারা বলেন, বর্তমানে পানির উচ্চতা ২৫০ সেন্টিমিটার। অমাবশ্যায় সৃষ্ট জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পন্টুন থেকে নামতে গিয়ে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। জোয়ারের পানির কারণে সিঁড়ি ডুবে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। হাঁটু পরিমাণ পানিতে ভিজে ঘাট থেকে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে।
যাত্রী সোহান, নাদিরা, নিখিল সরকার ও রেহানা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা লঞ্চের যাত্রী। মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটে নেমেছি। কিন্তু পুরো ঘাট প্লাবিত হওয়ায় ভিজে নামতে হয়েছে। পুরো ঘাটের সিঁড়ি তলিয়ে গেছে। সব যাত্রীকেই ওঠা-নামা করতে কষ্ট করতে হচ্ছে। ঘাটে ন্যূনতম যাত্রীসেবা মিলছে না।
অপরদিকে, একই অবস্থা ইলিশা ফেরি ঘাটের। জোয়ারে পানিতে তিন/চার ফুট পানিতে ডুবে আছে গ্যাংওয়ে। এতে যানবাহন ওঠা-নামা বন্ধ থাকায় ফেরি থেকে হাঁটু পানিতে নেমে ভিজে পন্টুনে উঠছেন যাত্রীরা। আবার কেউ কেউ নৌকায় করে উঠছেন।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের দীর্ঘতম নৌরুট ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। কিন্তু ঘাটে জোয়ারের পানির কারণে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুপুর থেকে ঘাটে যানবাহন ওঠা-নামা করতে পারছে না। এতে ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গন্তব্যে যেতে পারছে না যানবাহনগুলো।
ভোলা নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ফেরিঘাটে একটি হাই ওয়াটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। শিগগিরই মেরামত করা হবে লঞ্চঘাট।
ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বাংলানিউজকে বলেন, পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
পাউবো ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনার পানি ২৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমটার। এতে বাঁধের বাইরের বেশির ভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভোলায় ৩ নম্বর সংকেত থাকায় নদী উত্তাল রয়েছে।