মাওয়ায় একটা স্পীডবোট এম্বুলেন্স হলেই বাঁচতে পারে হাজারও জীবন
সোহেল আহমেদ,দৈনিক বরিশাল ২৪.কম:মাওয়া ফেরিঘাটে একটা স্পীডবোট এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হলেই বাঁচতে পারে হাজারও অসুস্থ রোগীর জীবন। ঘন্টার পর ঘন্টা াপেক্ষা করতে হবেনা মৃত্যু যন্ত্রনা থেকে এমনটি মনে করছেন সমাজসেবী শহীদুল ইসলাম শেখর। তাই দেশের বিত্তবানদের এ ব্যপারে এগিয়ে এসে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানালেন বাগেরহাটের কৃতিসন্তান র্যপিড পিআর এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শহীদুল ইসলাম শেখর নামের এই সমাজসেবী।
মাওয়া ফেরি পারাপারে এম্বুলেন্সে দীর্ঘ সময়ে রোগীর মৃত্যুযন্ত্রনার কথা উল্লেখ করে খন্দকার শহীদুল ইসলাম শেখর তার ফেসবুক পেজে স্পীডবোট চেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) একটি মানবিক আবেদনমুলক স্টাটাস দেন।
ওই স্টাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার শহীদুল ইসলাম শেখর দৈনিক বরিশাল ২৪.কম-কে জানান, বরিশাল সহ গোটা দক্ষীনাঞ্চলের প্রায় ২৫টি জেলার রোগীরা সড়ক পথে এম্বুলেন্সে এসে ফেরির জন্য মাওয়া ঘাটে ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর ফেরি ছাড়লে তা গন্তব্যে পৌছাতে আরো দুই ঘন্টার বেশি সময় চলে যায়। সব মিলিয়ে নদীপথেই একজন মুমুর্ষ রোগীর ৫ থেকে ৬ ঘন্টা কেটে যায়।
এ কারণে চিকিৎসার সব প্রস্তুতি থাকা সত্বেও শুধুমাত্র মাওয়ার নদীপথে অনেকেই অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। অপ্রত্যাশিত এই সমস্যা ধনী-গরিব সকলের জন্য বিরাজমান।
খন্দকার শহীদুল বলেন, রোগী ও তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীমুখী হলে নির্ধারিত সময়ে মাওয়া ঘাটে ফেরি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে ভীষন মানসিক টেনশন ভোগ করেন। অথছ একটি স্পীডবোট এম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা গেলে প্রতিদিন অন্তত ২০ জন রোগীকে নদীপথে যাতায়াত সেবা প্রদান করা সম্ভব। সে হিসেবে প্রতিমাসে এম্বুলেন্সে আসা ৬শ রোগীকে বিনামুল্যে সেবা দেয়া যেতে পারে।
স্পীডবোট এম্বুলেন্সটির পরিচালনার ব্যাপরে তিনি বলেন, রোগীরা বিনামল্যে যাতায়াত সেবা পাবে এখানে কোন ধরনের টাকা পয়সার লেনদেন থাকবেনা। এজন্য একটি নিতীমালাও প্রনয়ন করা হবে। নিজের উদ্দেশ্য অত্যন্ত সৎ জানিয়ে খন্দকার শহীদুল বলেন, স্পীটবোট এম্বুলেন্স এর কার্যক্রম কোন ভাবেই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়, এটা একটি মানবিক প্রজেক্ট হবে। দেশের বিত্তবানরা স্পীডবোটের ব্যবস্থায় এগিয়ে এলে এরকম মানবিক উদ্যোগ স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।