‘যোগ্যতা হচ্ছে বাস্তব জীবনের এক বাস্তবতা’
ডা: জহির,টাঙ্গাইল থেকে: যোগ্যতা হচ্ছে বাস্তব জীবনের এক বাস্তবতা | যার যোগ্যতা যত বেশী সে ততই সফল | কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত জীবনে, সমাজে মানুষের সাথে মিশতে এবং কি কথা বলতেও যোগ্যতার প্রয়োজন |
মেয়েদের গৃহিনী হতে( রান্না, সাংসারিক কাজ ), ছেলেদের স্বামী হতেও ( ছেলেদের পদ-পজিশন) লাগে যোগ্যতা | স্বামীর শারীরিক যোগ্যতা না থাকার অজুহাতে ভেঙ্গে যাচ্ছে অনেক সাজানো সুখের সংসার |
অনেক চাকুরীর বিজ্ঞাপনেই চাওয়া হয় নির্দিষ্ট পেশাগত যোগ্যতা | সদ্য ব্যাচেলর ডিগ্রি পাশকৃত একজন ছেলে-মেয়ের কর্মক্ষেত্রে কি পেশাগত যোগ্যতা সে দেখাবে ..? লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা বোর্ডই-তো তার জন্য মানসিক, শারীরিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের অন্যতম ক্ষেত্র |
আমরা বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক যোগ্যতাকে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা বলে মনে করি | অর্থনৈতিক যোগ্যতা না থাকলে আপনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত না |
ছেলে-মেয়েকে ভালো স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য চাই অর্থনৈতিক যোগ্যতা | অনেক সময়ই টাকার মানের নির্ভর করে প্রাইভেট টিউটর |
তাইতো আমরা পত্র-পত্রিকায়, বাস্তবতায় দেখি, টাকার অভাবে দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী ফরম ফিলাপ করতে পারে না, অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে পারে না | ভালো কর্ম ক্ষেত্রে তৈরী করতে হলেও অর্থনৈতিক যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে |
অর্থনৈতিক যোগ্যতার উপর নির্ভর করে দেশ-সমাজ-ব্যক্তি গরিব নাকি ধনী | ঘুষ কোন অর্থনৈতিক যোগ্যতার মধ্যে পড়ে না যেহেতু অবৈধ এবং হারাম |
যোগ্যতা প্রধানত: পাঁচ প্রকার
১. মানসিক যোগ্যতা ২. শারীরিক যোগ্যতা ৩. অর্থনৈতিক যোগ্যতা ৪. শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫. পেশাগত যোগ্যতা
এছাড়াও এখনকার সময়ে তোষামদকেও এক প্রকার যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয় | প্রশংসা ও তোষামদের মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য যা আমরা অনেক সময়ই গুলিয়ে ফেলি |
লেখক:ডা: জহির,বিশিষ্ট সমাজ সেবক,টাঙ্গাইল।
সংবাদটি শেয়ার করুন