শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা জাতীয় নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময়ে দলেরও বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অবস্থান নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার গণভবনে উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের শোকজ করা দরকার তাদের শোকজ করুন, যাদের সাসপেন্ড করা দরকার তাদের সাসপেন্ড করুন।’
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার জন্যও বলেন আ.লীগ সভাপতি। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা দৈনিক আমাদের সময়কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গণভবন সূত্র জানায়, বৈঠকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্য শেষে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাক মাহবুবউল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান তাদের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার সাংগঠনিক প্রতিবেন তুলে ধরেন। প্রতিবেদনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাসিম।
জানা গেছে, সাংগঠনিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের নাম ও তাদের অপরাধের মাত্রার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন ছাড়াও দলের ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে যারা শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে তাদের বিষয়েও উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে।
উপস্থিত বক্তাদের বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা আগামী সম্মেলনের আগেই দলের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ নিরসন করার পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে দলকে আরও বেগবান করার জন্য বিভিন্ন বিভাগ দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে সজাগ দৃষ্টি রাখারও আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
এই আলোচনা শেষে আসছে শোকাবহ আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচির বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উদযাপন, ৮ আগস্ট শহীদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উদযাপন, ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ, ২৪ আগস্ট নারী নেত্রী শহীদ বেগম আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন।
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দলের অঙ্গ-সংগঠনগলোকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের বিষয়েও নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।