শৈশবেই সুঅভ্যাস গড়ে তুলুন সন্তানের
দৈনিক বরিশাল ২৪.কম: সব বাবা-মা চান তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক সন্তান। এই মানুষ হিসেবে গড়তে গিয়ে নিজেরাই করেন উল্টো আচরণ। এতে হিতে হয় বিপরীত। সন্তানের মানসিক বৈশিষ্ট্য না বুঝে সন্তান ‘মানুষ’ করতে গেলে বিগড়ে যেতে পারে আপনার সন্তান। অভিযাত্রা
খুব অল্প অভিভাবকই জানেন সন্তানের বেড়ে উঠার প্রথম ধাপে তাকে কি শেখাতে হয়, কীভাবে শেখাতে হয়। শেখার কোনো শেষ নেই, কিন্তু একটু একটু করে ধাপে ধাপে শেখাতে হবে সব। ধৈর্য সহকারে সন্তানের আয়ত্তে দিতে হবে অনেক কিছুই। আসুন জেনে নিই পাঁচটি অভ্যাস, যার মাধ্যমে গড়ে উঠবে আপনার সন্তানের চরিত্র, ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য।
* আপনার সন্তান যেন অপরের সাথে সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয়, এটা শেখাবেন প্রথমে। তার খাবার, তার বই, তার ব্যবহৃত টুকটাক জিনিস সবকিছুই যেন তার ভাই-বোন ও খেলার সাথীদের সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে।
অনেক মা তার সন্তানের সুস্থতা, জীবাণুঘটিত ব্যাপারের কারণে সন্তানকে শেখান একদম ভাগাভাগি না করতে। আপনি তাকে শিখিয়ে দিবেন কি করে ভাগ করে দিতে হবে। ভাগাভাগির অভ্যাস না থাকলে আপনার সন্তান বড় হয়ে ‘শেয়ারিং’ ব্যাপারটা বুঝবেনা, এর কদরও করবেনা। ফলে তার মধ্যে আত্মতৃপ্তি আসবেনা।
* আপনার সন্তানকে ‘সরি’ বা ‘দুঃখিত’ বলতে শেখান। মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল করলে যাতে সে ক্ষমা চাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে পারে, তা শেখান শৈশবেই। তাকে বোঝান যে ক্ষমা চাওয়া মানেই ছোট হয়ে যাওয়া না, ক্ষমা চাওয়া একটা ভালো গুণ। এতে করে ভবিষ্যতে সে ভুল কাজটি আর করবে না।
* আপনার সন্তানকে একদম ছোটবেলা থেকে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাবেন। একদম ছোট বেলা থেকেই তাকে বুঝাবেন যে শুধুমাত্র শৌচকার্যে নয়, বাইরে থেকে এসে, সকালে উঠে, যেকোনো খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
নির্দিষ্ট স্থানে যে ময়লা ফেলতে হয়, যেখানে সেখানে ফেলতে হয় না। জানাল, রাস্তা, যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে তাতে আমাদেরই ক্ষতি হয় – এসব ব্যাপারে আপনার সন্তানকে জানিয়ে দিন।
* অকারণে যেন আপনার সন্তান কোনো পশুপাখিকে আঘাত না করে। আজকাল অনেক বাচ্চাকে দেখা যায় ইট, পাথর ছুঁড়ে বিড়াল বা কুকুরকে মেরে বিকৃত আনন্দ পাচ্ছে। তাকে বুঝাবেন যে পশুপাখির প্রাণ-অনুভূতি আছে। তাদের আঘাত করলে তারাও তারই মতো ব্যথা পায়।