সবই বদলে যাচ্ছে, বদলায়নি পাবনার কামার পল্লীর চিত্র
মোঃ ইয়াছিন শেখ (ঈশ্বরদী)পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা দাশুড়িয়া কামার শিল্পীরা পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দম ফেলার যেন সময় পাচ্ছে না তারা। রাতদিন টুং টাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে হাটবাজারসহ কামারবাড়ি।
বিভিন্ন হাটবাজারে কামারদের বাড়িতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামাররা। এইসব ব্যবহার্য জিনিস স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো পুড়িয়ে দা, বঁটি, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছে কামাররা। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এই শিল্প।
এ পেশায় কাজ করে কোন রকম সংসার চলে তবে কোরবানির ঈদের সময় একটু চাহিদা বাড়ে। অন্য সময় বেশি সময় বসে বসে পার করতে হয়।বিভিন্ন হাটবাজারে কামারদের বাড়িতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামাররা।লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে।
কামারের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু জবাইয়ের উপকরণ। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাসুয়া, দা, ছুরি, চাপাতি, ও ধামার ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০শ’ টাকা, হাসুয়া ১৮০টাকা, ছোট ছুরি ৫০টাকা, বটি ২০০শ’ টাকা, চাপাতি ২৮০-৪০০ টাকা করে।
এদিকে যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাণ দেন তাদের অবস্থা মোটামুটি ভাল বলে জানা গেছে।যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেন তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের কমবেশি সারা বছরই কাজ থাকে। কারণ নারীদেরতো সারা বছরই হাসুয়া, দা- ছুরি দিয়ে কাজ করতে হয়।
এদিকে নতুন সরঞ্জাম ও মেরামতকারি দোকানিদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বর্তমানে কয়লার ও লোহার দাম একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরও জিনিষপত্রের দাম একটু বাড়াতে হয়েছে।এছাড়াও শহরের বেশ কিছু স্থানে তৈরিকৃত ছুরি, দা, কোপতা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
অনেকেই এসব অস্থায়ী দোকানে ভিড় করছেন, দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় । ছবিটি তোলা হয়েছে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া বাজার কামারবারি থেকে।