সবাই কতটা আতঙ্কে আছি বুঝলাম: কাজী ওয়াজেদ
অপেক্ষায় ছিলাম কখন ডাক পড়ে। খুব উদ্বিগ্নও ছিলাম, কি হয় না হয়! একে একে মাইকে ডাকা হচ্ছে রিপোর্ট গ্রহণের জন্য। অপেক্ষায় থাকা মানুষগুলোর চোখে মুখে স্পষ্ট উৎকণ্ঠার ছাপ! অনেক মায়েদের মুখে দোয়া দরুদ পড়ার আভাস। অনেকের বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে থাকা দেখে মনে হচ্ছিল অনেকটাই ভীতিকর পরিবেশে আছেন।
এমন ভয় ভয়ের মধ্যেই হঠাৎ মাইকে ডাক “কাজী ফারজানা আছেন”? বললাম “আছি”। লোকজনের ভীড় ঠেলে পড়ি কি মরি করে দূর থেকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিলাম রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টটা।
ঠেলাঠেলির মধ্যেই মুহূর্তেই খাম খুলে বের করে ফেললাম রিপোর্ট! দ্রুত চোখ বুলালাম ডেঙ্গু পরীক্ষার রেজাল্টের দিকে। হাফ ছেড়ে বাঁচলাম!
আমার প্রিয় সন্তানের ডেঙ্গু পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ! এবার প্লাটিলেট কাউন্টের দিকে খেয়াল করলাম। ২,৬০,০০০ । যাক বাঁচা গেল!
হাফ ছেড়ে বাঁচলাম আমি ঠিকই কিন্তু অন্য অনেকের মনের অবস্থা দেখে খুবই খারাপ লাগলো। আমরা সবাই কতটা আতঙ্কে আছি বুঝলাম।
এটা ছিল গতকাল মালিবাগ পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবস্থা। গতকাল প্রায় ৭০০-৮০০ মানুষের সিরিয়াল দেখলাম রক্ত পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়ানো। বারবার অটো মাইকে ঘোষণায় তেমনটাই ধারনা হল। যাদের বেশিরভাগই ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আসা মনে হল।
আতঙ্কিত মানুষজনের জন্য খারাপ লাগলো। অনুমান করা গেল সম্প্রতি ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের ভয় আর উৎকণ্ঠার বিষয়টা। সবার জন্য সুস্থতা কামনা করি। আমরা সবাই এই ভয়কে জয় করি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সফল হই।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: ওসি, সূত্রাপুর থানা
দৈনিক বরিশাল ২৪.কম/ফারজানা ইয়াসমীন