সেচ্ছাসেবী সংগঠন এইড বাংলা’র আয়োজনে বরিশালে তালের বীজ রোপন
প্রিন্স তালুকদার, বাবুগঞ্জ অফিস: বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব রোধে সৃষ্ট দুর্যোগ ও বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বরিশালের লাকুটিয়ায় তাল বীজ রোপন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এইড বাংলার আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে বরিশালের লাকুটিয়া সড়কের নির্মানাধীন পঞ্চায়েত রিসোর্টের বিভিন্ন স্থানে এ তাল বীজ রোপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘এইড বাংলা’র উপদেষ্টা বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম হাওলাদার, পি আর সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষক আবু আহম্মেদ আল মামুন, সমাজসেবক মামুন অর রশিদ, এইড বাংলা’র চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য মোঃ সুমন মীর, মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির, যুগ্ন মহাসচিব সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) আবদুর রাজ্জাক সুমন মল্লিক।
এছাড়াও বরিশাল মেট্রোপলিটন হাসপাতালের পরিচালক আবুল হাসানাত, পরিচালক মাওলানা তোফাজ্জেল হোসেন, মাওলানা সরোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, রুহুল আমিন (লিটন হাওলাদার), নাসির উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সুমন মোল্লা, মুজাম্মেল কাজী, আরিফুর রহমান হাওলাদার, খোকন কাজী, আরিফুর রহমান, ফয়ছাল আহম্মেদ, ফাহাদ হাসান, হাবীবুর রহমান, জুয়েল গাজী, সুমন মাঝি, আব্বাস ঢালী, শাওন মোল্লা, ইমরান হোসেন, নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক প্রিন্স তালুকদার সহ এলাকার ব্যক্তিবর্গ।
এইড বাংলা’র চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য মোঃ সুমন মীর বলেন, তাল বীজ রোপন কর্মসূচি হিসেবে এক হাজার বীজ রোপন করা হবে। তারই অংশ হিসেবে আজ বরিশালের লাকুটিয়া সড়কের নির্মানাধীন পঞ্চায়েত রিসোর্টের বিভিন্ন স্থানে এ তাল বীজ রোপন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে তাল বীজ রোপন করা হবে।
সংগঠনের মহাসচিব বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বজ্রপাতের পরিমান আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ও ঝুঁকি বেড়েছে। গ্রামেগঞ্জে প্রচুর পরিমানে তালগাছ গাছ থাকলে বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমানো সম্ভব।
এইড বাংলা’র নির্বাহী পরিচালক প্রিন্স তালুকদার বলেন, থাইল্যান্ডে তাল গাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুও সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কতৃপক্ষ (বিএমডিএ) ২০০৮ সাল থেকে প্রায় ৭২০ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে লাগানো হয়েছে ৩০ লাখের বেশি তালগাছ।
ভিক্ষুক বৃদ্ধ গহের আলীর সামর্থ্য ছিল না অন্য ফলজ বা দামি বনজ গাছের চারা কেনার। তিনি চাল-ডাল আর তালের আঁটি ভিক্ষে হিসেবে সংগ্রহ করে আঁটি পুঁতে দিয়েছিলেন সরকারি রাস্তার দুই পাশে। প্রখর রোদে পথচারীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে গহের আলীর তালগাছ লাগানোর কাজ শুরু করেন।
রাজশাহী নওগাঁ মহাসড়কের ভিমপুর ইউনিয়নের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে যে তালগাছগুলো তার সবই গহের আলীর লাগানো। ইত্যাদিতে প্রচারের পর সেই বছরেরই ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ গ্রহন করেন।
২৭ ডিসেম্বর ২০১০ সালে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মানুষ ইচ্ছা করলে সমাজ ও দেশকে কতভাবেই না কতকিছু দিতে পারে। গহের আলী, ইরোজ স্যার এবং নাঈম রেজার মতো হয়তো আরো অনেকেই নিভৃতে এমন সামাজিক কাজ করে চলেছেন।