সেদিন অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া সাদিক আজকের বরিশালের সফল মেয়র
অনলাইন নিউজ: সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া স্বজনের রক্তে ভেজা সেই সময়ের দেড় বছরের শিশু আজকের বরিশালের রাজনীতির ‘আইকন’ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজের মেধা, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে পাদ প্রদীপের আলোয় আসা এক উদীয়মান সূর্য। যার আলোয় আলোকিত বরিশালের আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গন। তিনি বরিশাল সিটি নির্বাচনের সর্বাপেক্ষা আলোচিত ও জনপ্রিয় মেয়র।
বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে মন্ত্রী পদ মর্যাদার পার্বত্য শান্তি চূক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি ও বরিশাল জেলা আ’লীগের সভাপতি সিংহ পুরুষ খ্যাত জাতীয় নেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে মুজিব অন্তঃ প্রাণ সাদিক আব্দুল্লাহ নিজেকে শুধু যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবেই নয় দলীয় নেতা-কর্মীদের আশা ও ভরসার প্রতীক হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলতে পেরেছেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে দাদা তৎকালীণ কৃষিমন্ত্রী ও কৃষক কুলের নয়নের মনি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও চার বছরের ভাই সুকান্ত আব্দুলাহ বাবুসহ পরিবারের অনেক স্বজনকে হারান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
সেদিন রাতে মৃত্যুর দুয়ার থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের অপার কৃপায় অলৌকিকভাবে বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বুলেটবিদ্ধ মা শাহানারা আব্দুল্লাহ ও তার কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু পুত্র সাদিক আব্দুল্লাহ প্রাণে বেঁচে যান। শরীরে বেশ কয়েকটি বুলেট বহন করে অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে মা শাহানারা আব্দুল্লাহ ও বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর মতো সাদিক আব্দুল্লাহও আ’লীগের সুখ-দুঃখের অংশীদার।
৭৫’র পর সেনাশাসক জিয়াউর রহমান, স্বৈরশাসক এরশাদ ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে (৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬) মিথ্যা মামলাসহ নানা ভাবে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারকে হয়রানির শিকার হতে হয়। ১/১১’র সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলেও ষড়যন্ত্রের শিকার হন তারা।
তবে সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাঝেও এ পরিবারটি বরিশালে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের একমাত্র ভরসাস্থল ও শেষ ঠিকানা। সেদিন অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া সাদিক আজকের বরিশালের সফল মেয়র হিসেবে খ্যাতি লাভ করছেন।