হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মক্কা থেকে মিনার পথে যাত্রা শুরু করেন হাজিরা। ইতিমধ্যে মিনায় সমবেত হয়েছেন তারা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ২০ লাখের বেশি মুসল্লি মসজিদুল হারাম থেকে নয় কিলোমিটার দূরে মিনার পথে রওনা হয়েছেন। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হয়। যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে। অন্যান্য দেশের হাজিদের সঙ্গে বাংলাদেশের ১ লাখ ২৬ হাজার হাজিও রওয়ানা হন মিনার পথে।
১০ আগস্ট আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেয়া হবে। হজের খুতবা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন হাজিরা। আগামীকাল সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন হাজিরা। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারা রাত অবস্থানের পর শয়তানের স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন হাজিরা।
মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম— ইয়ামুল আরাফা।
ইসলামের বিধান মোতাবেক, ১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত।
এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।