১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ও পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস - দৈনিক বরিশাল ২৪ দৈনিক বরিশাল ২৪১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ও পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস - দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রকাশিতঃ আগস্ট ১৫, ২০১৯ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
A- A A+ Print

১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ও পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস

অনলাইন নিউজ: বাংলাদেশের পুলিশ বরাবরই হতভাগা একটি বাহিনী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাজারবাগে পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস সবারই জানা। সেই কালো রাতে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে অসীম সাহসিকতার প্রতিরোধ দেখিয়েছিলেন বীর পুলিশ সদস্যরা। একরাতেই আটশতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছিলেন। রাজারবাগে পুলিশের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে গোটা পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশকে নিরস্ত্র করতে হবে। কারণ বাঙালি পুলিশ সদস্যরা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। তাইতো মার্চের শেষ সপ্তাহ এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যেখানেই পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেখানেই তারা থানা দখলে নিয়েছে।

পরিস্থিতি বুঝেই বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রায় সব থানার অস্ত্রাগারের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন এবং নিজেরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রত্যেক জেলায় একই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার অনেক অফিসার শহীদ হয়েছেন। কারণ পাকিস্তানি হায়েনাদের আক্রোশে বড় টার্গেট ছিলো বাঙালি পুলিশ। এরপর…কিন্তু?

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দেখা গেল পুলিশের কেউই বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পাননি। এমনকি বীরউত্তম খেতাব দেয়া হয়নি। চার দশক পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান ছিল উপেক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ২০১১ সালে পুলিশকে দেয়া হয় স্বাধীনতা পদক (অথচ ২০০৪ সালে জন্মের পর ২০০৮ সালে র‍্যাব অর্জন করে স্বাধীনতা পদক) পুলিশের বীর শহীদ কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে।

স্বাধীনতার পর পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই কথা রেখেছিল পুলিশ। ১৯৭৫ সালে পিজিআর গঠনের আগ পর্যন্ত ঢাকা জেলা পুলিশ বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতো। বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছে নিতে পুলিশ সবসময় সজাগ ছিল। প্রতিটি সরকারী সফরে পুলিশ সদস্যরাই বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার এবং প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করতেন।

 

সময়কাল ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। ভোররাতে পিজিআর সদস্যরা অস্ত্র হাতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ তাদের বন্দুকে গুলি ছিল না। ১৪ আগস্ট গভীর রাতে পিজিআরের সুবেদার মেজর ওয়াহাব জোয়ার্দার ঘাতকদের সাথে ষড়যন্ত্র করে পিজিআরের সব গুলি নিজের জিম্মায় নিয়ে নেয়। কিন্তু পুলিশের গুলি নেয়ার সুযোগ ঘাতকেরা পায়নি। তাই ভোরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর আক্রান্ত হলে পুলিশ গুলি ছুড়ে প্রতিরোধ গড়ে। তার খেসারত হিসেবে ঘাতক সেনাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হন পুলিশের এ এস আই ছিদ্দিকুর রহমান। গুলিবিদ্ধ হন পুলিশের ডিএসপি অফিসার নুরুল ইসলাম খান। সব পুলিশ সদস্যকে বন্দী করে অস্ত্র কেড়ে নেয় ঘাতকেরা। কিন্তু কোন পুলিশ সদস্যের গুলিতে রক্তাক্ত হয়নি বঙ্গবন্ধুর বুক।

এবার আসি, ইতিহাসে কিভাবে উপেক্ষিত পুলিশ?
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদদের তালিকার মধ্যে কর্নেল জামিলের ছবি দেয়া হয়। তাই সবাই মরহুম জামিল সাহেবের আত্মত্যাগের ইতিহাস জানার সুযোগ পান। কিন্তু শহীদ এ এস আই ছিদ্দিকুরের নাম ক’জন জানেন? গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম খানের খবর ক’জন রাখে? মানুষ জানে না। কারণ তারা পুলিশ আর পুলিশের পরবর্তী প্রজন্ম সাহস করে বিষয়টিকে সামনে আনেনি।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। কিন্তু ১৯৯৭ সালে ফ্রিডম পার্টির সদস্যরা গাজীপুরে তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান এবং আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাঁর বড় ছেলে এরশাদের সময় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভিপি ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতির রোষানলে পড়েন। আরেক সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদ খান বর্তমানে বিজিবির রংপুর রিজিওয়ন কমান্ডার। বিভিন্ন সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিজিআরের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে কুমিল্লা সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার করা হয়েছে।

৮৮ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম খান এখন আমেরিকায় থাকেন। গত ডিসেম্বর মাসে তিনি দেশে এসেছিলেন। তখন তাকে খুঁজে বের করেন সিনিয়র এ এস পি সুদীপ্ত সরকার। মেধাবী এই অফিসার মনেপ্রাণে একজন দক্ষ গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা এবং সংগঠক হিসেবে তাঁর সৃজনশীলতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। তীব্র শীতের মধ্যে বাইক চালিয়ে অনেকদিন আমরা মিরপুর গিয়েছি। সহযোগিতা করেছিল স্নেহের দুই ছোটভাই সালেহ জয়তী মিল্টন। আমি খুঁজে বের করি ছিদ্দিকুরের ছোট ছেলেকে।

এরপর শুরু হয় নতুন গবেষণা। নুরুল ইসলাম খানের কাছে নিয়ে যাই ছিদ্দিকুর রহমানের ছোট ছেলে মাহফুজকে। হতভাগ্য সন্তান বাবার স্মৃতি জানার সুযোগ পান। নুরুল ইসলাম খান জানালেন, তাঁর পাশেই ছিলেন এএসআই ছিদ্দিকুর রহমান। আচমকা একটা গুলি বুকে লাগার পর তিনি লুটিয়ে পড়েন। আর একটা গুলি এসে লাগে নুরুল ইসলাম খানের পায়ে। তিনি কাতরাতে থাকেন। পরে তাকে বন্দী করা হয়।

শহীদ ছিদ্দিকুরের ছবি কিভাবে জোগাড় করা যায়?
এটাও নতুন যুদ্ধ। আমার মাথায় আইডিয়া আসে স্কেচ ফর্মুলা। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কোনো ছবি নেই কিন্তু তাদের স্বজন ও সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণনা শুনে যেভাবে স্কেচ করা হয় ঠিক সেভাবেই আঁকা হয়েছে শহীদ এ এস আই ছিদ্দিকুরের ছবি। নুরুল ইসলাম খান আমাদের নিশ্চিত করেছেন, স্কেচের মত দেখতে ছিলেন ছিদ্দিকুর রহমান।

কেমন আছেন শহীদ ছিদ্দিকুরের পরিবারের সদস্যরা?
স্বামী মারা যাওয়ার পর কোনো পেনশন দেয়া হয়নি এ এস আই ছিদ্দিকুরের পরিবারকে। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে অর্থাভাবে দিন কেটেছে ছিদ্দিকুরের স্ত্রী-সন্তানদের। ১৯৯২ সালে মা মারা যাওয়ার পর মাহাবুব এবং মাহফুজকে কঠিন জীবনযুদ্ধে নামতে হয়। এখন দুইভাই বেকার। আমি অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছি, দুইভাইকে একটি চাকরি দেয়ার জন্য। কিন্তু এখনো সফল হতে পারিনি।

ইতিহাস বলে, পুলিশ কখনই দেশ মাতৃকা এবং বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের সাথে বেইমানি করেনি। তাই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির মত পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস বরাবরই ট্রাডেজি হয়ে আছে। সুত্র:চ্যানেল আই

দৈনিক বরিশাল ২৪

১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ও পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৫, ২০১৯ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন নিউজ: বাংলাদেশের পুলিশ বরাবরই হতভাগা একটি বাহিনী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাজারবাগে পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস সবারই জানা। সেই কালো রাতে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে অসীম সাহসিকতার প্রতিরোধ দেখিয়েছিলেন বীর পুলিশ সদস্যরা। একরাতেই আটশতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছিলেন। রাজারবাগে পুলিশের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে গোটা পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশকে নিরস্ত্র করতে হবে। কারণ বাঙালি পুলিশ সদস্যরা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। তাইতো মার্চের শেষ সপ্তাহ এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যেখানেই পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেখানেই তারা থানা দখলে নিয়েছে।

পরিস্থিতি বুঝেই বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রায় সব থানার অস্ত্রাগারের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন এবং নিজেরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রত্যেক জেলায় একই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার অনেক অফিসার শহীদ হয়েছেন। কারণ পাকিস্তানি হায়েনাদের আক্রোশে বড় টার্গেট ছিলো বাঙালি পুলিশ। এরপর…কিন্তু?

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দেখা গেল পুলিশের কেউই বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পাননি। এমনকি বীরউত্তম খেতাব দেয়া হয়নি। চার দশক পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান ছিল উপেক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ২০১১ সালে পুলিশকে দেয়া হয় স্বাধীনতা পদক (অথচ ২০০৪ সালে জন্মের পর ২০০৮ সালে র‍্যাব অর্জন করে স্বাধীনতা পদক) পুলিশের বীর শহীদ কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে।

স্বাধীনতার পর পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই কথা রেখেছিল পুলিশ। ১৯৭৫ সালে পিজিআর গঠনের আগ পর্যন্ত ঢাকা জেলা পুলিশ বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতো। বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছে নিতে পুলিশ সবসময় সজাগ ছিল। প্রতিটি সরকারী সফরে পুলিশ সদস্যরাই বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার এবং প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করতেন।

 

সময়কাল ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। ভোররাতে পিজিআর সদস্যরা অস্ত্র হাতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ তাদের বন্দুকে গুলি ছিল না। ১৪ আগস্ট গভীর রাতে পিজিআরের সুবেদার মেজর ওয়াহাব জোয়ার্দার ঘাতকদের সাথে ষড়যন্ত্র করে পিজিআরের সব গুলি নিজের জিম্মায় নিয়ে নেয়। কিন্তু পুলিশের গুলি নেয়ার সুযোগ ঘাতকেরা পায়নি। তাই ভোরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর আক্রান্ত হলে পুলিশ গুলি ছুড়ে প্রতিরোধ গড়ে। তার খেসারত হিসেবে ঘাতক সেনাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হন পুলিশের এ এস আই ছিদ্দিকুর রহমান। গুলিবিদ্ধ হন পুলিশের ডিএসপি অফিসার নুরুল ইসলাম খান। সব পুলিশ সদস্যকে বন্দী করে অস্ত্র কেড়ে নেয় ঘাতকেরা। কিন্তু কোন পুলিশ সদস্যের গুলিতে রক্তাক্ত হয়নি বঙ্গবন্ধুর বুক।

এবার আসি, ইতিহাসে কিভাবে উপেক্ষিত পুলিশ?
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদদের তালিকার মধ্যে কর্নেল জামিলের ছবি দেয়া হয়। তাই সবাই মরহুম জামিল সাহেবের আত্মত্যাগের ইতিহাস জানার সুযোগ পান। কিন্তু শহীদ এ এস আই ছিদ্দিকুরের নাম ক’জন জানেন? গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম খানের খবর ক’জন রাখে? মানুষ জানে না। কারণ তারা পুলিশ আর পুলিশের পরবর্তী প্রজন্ম সাহস করে বিষয়টিকে সামনে আনেনি।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। কিন্তু ১৯৯৭ সালে ফ্রিডম পার্টির সদস্যরা গাজীপুরে তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান এবং আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাঁর বড় ছেলে এরশাদের সময় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভিপি ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতির রোষানলে পড়েন। আরেক সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদ খান বর্তমানে বিজিবির রংপুর রিজিওয়ন কমান্ডার। বিভিন্ন সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিজিআরের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে কুমিল্লা সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার করা হয়েছে।

৮৮ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম খান এখন আমেরিকায় থাকেন। গত ডিসেম্বর মাসে তিনি দেশে এসেছিলেন। তখন তাকে খুঁজে বের করেন সিনিয়র এ এস পি সুদীপ্ত সরকার। মেধাবী এই অফিসার মনেপ্রাণে একজন দক্ষ গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা এবং সংগঠক হিসেবে তাঁর সৃজনশীলতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। তীব্র শীতের মধ্যে বাইক চালিয়ে অনেকদিন আমরা মিরপুর গিয়েছি। সহযোগিতা করেছিল স্নেহের দুই ছোটভাই সালেহ জয়তী মিল্টন। আমি খুঁজে বের করি ছিদ্দিকুরের ছোট ছেলেকে।

এরপর শুরু হয় নতুন গবেষণা। নুরুল ইসলাম খানের কাছে নিয়ে যাই ছিদ্দিকুর রহমানের ছোট ছেলে মাহফুজকে। হতভাগ্য সন্তান বাবার স্মৃতি জানার সুযোগ পান। নুরুল ইসলাম খান জানালেন, তাঁর পাশেই ছিলেন এএসআই ছিদ্দিকুর রহমান। আচমকা একটা গুলি বুকে লাগার পর তিনি লুটিয়ে পড়েন। আর একটা গুলি এসে লাগে নুরুল ইসলাম খানের পায়ে। তিনি কাতরাতে থাকেন। পরে তাকে বন্দী করা হয়।

শহীদ ছিদ্দিকুরের ছবি কিভাবে জোগাড় করা যায়?
এটাও নতুন যুদ্ধ। আমার মাথায় আইডিয়া আসে স্কেচ ফর্মুলা। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কোনো ছবি নেই কিন্তু তাদের স্বজন ও সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণনা শুনে যেভাবে স্কেচ করা হয় ঠিক সেভাবেই আঁকা হয়েছে শহীদ এ এস আই ছিদ্দিকুরের ছবি। নুরুল ইসলাম খান আমাদের নিশ্চিত করেছেন, স্কেচের মত দেখতে ছিলেন ছিদ্দিকুর রহমান।

কেমন আছেন শহীদ ছিদ্দিকুরের পরিবারের সদস্যরা?
স্বামী মারা যাওয়ার পর কোনো পেনশন দেয়া হয়নি এ এস আই ছিদ্দিকুরের পরিবারকে। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে অর্থাভাবে দিন কেটেছে ছিদ্দিকুরের স্ত্রী-সন্তানদের। ১৯৯২ সালে মা মারা যাওয়ার পর মাহাবুব এবং মাহফুজকে কঠিন জীবনযুদ্ধে নামতে হয়। এখন দুইভাই বেকার। আমি অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছি, দুইভাইকে একটি চাকরি দেয়ার জন্য। কিন্তু এখনো সফল হতে পারিনি।

ইতিহাস বলে, পুলিশ কখনই দেশ মাতৃকা এবং বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের সাথে বেইমানি করেনি। তাই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির মত পুলিশের আত্মত্যাগের ইতিহাস বরাবরই ট্রাডেজি হয়ে আছে। সুত্র:চ্যানেল আই

প্রকাশক: মোসাম্মাৎ মনোয়ারা বেগম। সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা। সম্পাদক : শামিম আহমেদ যুগ্ন-সম্পাদক : মো:মনিরুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টা: মোসাম্মৎ তাহমিনা খান বার্তা সম্পাদক : মো: শহিদুল ইসলাম ।
প্রধান কার্যালয় : রশিদ প্লাজা,৪র্থ তলা,সদর রোড,বরিশাল।
সম্পাদক: 01711970223 বার্তা বিভাগ: 01764- 631157
ইমেল: sohelahamed2447@gmail.com
  বরিশালে পাঁচ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে পুলিশের ত্রাণ বিতরণ   ইপিজেড থানা যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত   দৈনিক বরিশাল২৪.কম-এর সম্পাদক শামীম আহমেদ অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি   বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বরিশালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সক্রিয় ট্রাফিক পুলিশ   “সাংবাদিকদের সক্রিয় রাজনীতিতে না আসাই ভাল”–মজিবর রহমান সরোয়ার   পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন বরিশালের কৃতিসন্তান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান   বানভাসীদের সহযোগিতায় এক দিনের বেতন দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়কোহামা লেভেলস এন্ড প্রিন্টিং (বিডি) লিমিটেড   বরিশালে শ্রমীক লীগ নেতার ইসলামী আন্দোলনে যোগদান   বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এরো চট্টগ্রামের ধানসিঁড়ি আদর্শ কেজি স্কুল   বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এলো ধানসিঁড়ি আদর্শ কেজি স্কুল   বন্যাদূর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত   খাগড়াছড়িতে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী   বোট নিয়ে চট্টগ্রামের নিউমুরিং থেকে উদ্ধার টিম নোয়াখালীতে পৌছাল   বরিশালে দুর্গোৎসবের টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বন্যার্তদের জন্য দান   বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে সেনা মোতায়েন   চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস উদ্বোধন   বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দলনে নিহত শান্ত ও রাকিবের কবর জিয়ারত করলেন বরিশাল জাপার নেতৃবৃন্দ   রাস্ট্র সংস্কারে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবেঃ ইকবাল হোসেন তাপস   রাস্তায় লাঠি হাতে ছাত্রলীগকে মানুষ পছন্দ করেনি, অন্য কাউকেও দেখতে চায় নাঃ তাপস