২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, জেলা প্রশাসকের শেবাচিম পরিদর্শন
শামীম আহমেদ: ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯৮ জন । যা এ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার হিসেব অনুযায়ী রেকর্ড সংখ্যক ভর্তি রোগী। ভর্তি হওয়া ৯৮জনের মধ্যে পুরুষ ৫২জন, নারী ২৬ জন ও ২০ জন শিশু। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩২ জন।
শনিবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী। হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ঈদের আগমুহুর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়াটা শঙ্কার। কারণ এখন মানুষ গ্রামের
বাড়িতে ফিরছে আর রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে আমরা আগাম সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ফলে
চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবেনা।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুশা আক্তার (১০) নামের আরও এক রোগী শনিবার সকাল ১০টার দিকে মারা গেছে। এর আগে শুক্রবার রাত আটটার দিকে
আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত রুশা ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর এলাকার
বাসিন্দা রুহুল আমীনের কন্যা।
হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকীর হোসেন জানান, রুশার পরিবার ঢাকায় থাকে। ঢাকায় অবস্থানকালেই
সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত দুইদিন আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে রুশা রাজাপুরের গ্রামের
বাড়ি আসে।
পথিমধ্যে সে আরও অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে বরিশাল নগরীর বেসরকারী রাহাত-আনোয়ার
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত আটটার দিকে রুশাকে মুমূর্ষ
অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এনিয়ে গত এক মাসে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন এবং গৌরনদী উপজেলা
হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে আজ ১০ আগস্ট বিকাল ৬ টায় বরিশাল জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান হাসপাতালে রোগীদের খেতে যান।।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশাল, ডঃ মোঃ বাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস দাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বরিশাল শেবাচিমের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এসময় তিনি ডেঙ্গু রুগীদের সাথে কথা বলেন তাদের খোঁজখবর নেন। তাদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হবার জন্য পরামর্শ দেন।