৬৫দিন নিষেধাজ্ঞায় ব্যাপক ক্ষতি দাবী করেছে মৎস্যজীবি নেতারা
অনলাইন নিউজ: সাগরে মাছ ধরার ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গত ২৩শে জুলাই থেকে সাগরে জেলেরা জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। সাগরে ৩ দিনের জন্য মাছ শিকারে গেলেও একদিনেই ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে চট্টগ্রামের ফিশারী ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। এতে জেলেরা খুশি।
কিন্তু ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছে ৬৫দিন বন্ধ রাখায় জেলে, ট্রলারের মালিক ও মৎস্যজীবিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভরা মৌসুমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় ভারতীয় ও মায়ানমারের জেলেরা প্রচুর মাছ আহরণ করেছে।
বাংলাদেশকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে মাছ আমদানী করতে হয়েছে। রুপালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা সবাই ভারত ও মিয়ানমার থেকে মাছ এনে এখানে বিক্রি করেছি। তিনি বলেন, ইলিশসহ যাবতীয় মাছ কখনো এক জায়গায় অবস্থান করে না ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বুধবার থেকে সাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া শুরু করেছেন চট্টগ্রা, কক্সবাজারসহ সারাদেশের জেলেরা। ছোট, মাঝারি ও বড় ট্রলারগুলো ৩ থেকে ১০ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকারে গেলেও কোন কোন ট্রলার একদিনেই ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ফিরছে উপকূলে।
গত ৬৫ দিন মাছ বেচা-কেনা না থাকায় মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলে শূন্য ছিল চট্টগ্রামের ফিশারীঘাট। বাহির থেকে আমদানীকৃত মাছ গুলো কয়েকটি আড়তে বিক্রি হতো মাত্র। এখন জেলেদের শিকার করে আনা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশে সয়লাব ফিসারীঘাট ও পতেঙ্গা, হালিশহরে। আর মাছ ওঠা-নামা ও বেচাকেনায় ব্যস্ত মৎস্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
জেলে মো: ওসমান বলেন, আমরা ১৫দিনের টার্গেক কওে সাগওে গিয়েছিলাম ৩দিনের মাথায় চলে আসছি। মাছভর্তি ট্রলার নিয়ে দ্রুত সময়ে গন্তেব্যে আসতে পেরে তারা আনন্দিত। জেলে শিবু দাস বলেন, সাগর উত্তাল পর্যাপ্ত মাছও ধরা পড়ছে।
তবে বন্ধের সময় ভারত ও মিয়ানমার মাছ শিকার করায় আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ৬৫দিন বন্ধের ক্ষতি পুরণে আরো সময় লাগবে বলেও তিনি জানান। জেলে মিজান উদ্দিন জানান, এভাবে দীর্ঘদিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা যেন আর কোন সময় সরকার না দেয়। এর ফলে জেলেদেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।