বরগুনার আমতলীতে দু পক্ষের সংঘর্সে একজন নিহত
মংচিন থান, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে সুলতান গাজী (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে তার দুই ছেলে। আহত চুন্নু গাজী ও পনু গাজীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনার আমতলী উপজেলার ঘোপখালী গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ সুলতান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের লতিফ গাজী ও মোশাররফ মালের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই জমির সীমানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে লতিফ গাজী এবং মোশাররফ মাল ও তার লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের ছয়জন আহত হয়। গুরুতর আহত সুলতান গাজী ও তার দুই ছেলে চুন্নু গাজী ও পনু গাজীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন খন্দকার আহত সুলতান গাজীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। চুন্নু গাজী ও পনু গাজীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত মোশারফ মাল, আইউব মাল ও শাহিন মালকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত সুলতান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পরপরই মোশাররফ মাল ও তার লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
নিহত সুলতান গাজীর ভাই জাহাঙ্গির গাজী বলেন, আমার ভাই সুলতান গাজীকে আইউব মাল, মোশাররফ মাল, হাবিব মাল, তৈয়ব মাল ও মকবুল মাল পিটিয়ে হত্যা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুমন খন্দকার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই সুলতান গাজী মারা গেছেন।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল থেকে সুলতান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মামলা হয়েছে।আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে