ভোগ-বিলাসী জীবন নয় মানব সেবায় উৎসর্গ করেছেন সত্তা-স্বকীয়তা ইকবাল হোসেন তাপস

নাসরিন ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বরিশাল এর কীর্তি সন্তান মেয়র পদপ্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস সম্পর্কে দুটি কথা,,,,,,
জাপান হতে কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে দেশে ফিরলেন বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে দেশের টানে আর্ত-মানবতার সেবায় নিজকে সমর্পন করার নেশায়।
তিনি বিদেশে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন সেই সময়। জাপানে famous কোম্পানিগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকতা হিসেবে নিয়োজিত হয়ে। নিজের ভোগ-বিলাসী জীবন-যাপনের কথা ভেবে।
কিন্তু না তিনি তা করেন নি। জন্মভূমির প্রতি ছিলো তার নাড়ীর টান, মায়া-মমত্বে ভরা আকুলতা নিয়ে দেশের জনগনের টানে তিনি তদানিন্তন সময়ে ১৯৯১ সালে ফিরে এলেন। আমি তিনবেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকলে, আমাদের প্রতিবেশী পাড়া-পড়শীরাও যেনো তিন বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে সেই প্রত্যয় নিয়ে।
শুরু হলো তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা বিদেশি বিনিয়োগে দেশের জনগনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় শারীরিক মানসিক পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত করা। অহোরাত্র তার করোটির কোটরে বিভিন্ন plan। বাংলাদেশের জনশক্তি কে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বুদ্ধি মত্তায় দিয়ে কিভাবে দ্রুত এগিয়ে নেয়া যায়।
তাই তিনি একের পর এক বিদেশী প্রতিষ্ঠান এর সহায়তায় বাংলাদেশে শাখা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকেন।
এমন একজন মানব হিতৈষী গুনীজন হলেন বরিশাল এর কীর্তি সন্তান প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি হলেন একজন দৃঢ় প্রত্যয়ী মানব হিতৈষী উদারচিন্তার আদম সন্তান।
যুগে যুগে কালে কালে কিছু আদম সন্তানের আবির্ভাব ঘটে। এই পার্থিব জগতে মানব সন্তানের কল্যানে তারা নিজেদের জাহির না করে নীরবে নিভৃতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেন মানব সভ্যতার উন্নয়নের লক্ষ্যে। তাদের দান এর কথা! ডান হাত দিয়ে দান করলে বাম হাত জানেন না। এভাবে জীবদ্দশায় কাজ করে চলেন বিনিময়ে কিছুই চান না। চান শুধু ঐ মানুষগুলোর উত্তরোত্তর উন্নতি। মৌলিক মানবিক চাহিদার শর্তগুলো তাদের হোক পুরণ।
মানুষ বাঁচলে সমাজ দেশ বিশ্ব বেঁচে থাকবে অনন্তকালের তরে। পিপাসার্ত বুভূক্ষ মানুষের আর্তনাদ হাহাকারে যেনো পৃথিবী গর্জে না ওঠে ধ্বংসাত্মক গতিতে। এই ভাবনা যেনো পীড়া না দেয় ক্ষনিকের জন্য যে, আমারও কিছু করার ছিলো, আমিও চাইলে কিছু করতে পারতাম।
এমন ভাবনায় যেনো কুটিকুটি করে না খায় ঘুনোপোকা। শেষ করে না দেয় মনুষ্যত্ব। নিজকে যেনো মানুষরূপী কীট ঘুনাক্ষরেও মনে না হয়। এমন কলুষিত ভাবনায় ধাবিত না হয় আত্মা মন-প্রাণ, অস্থিমজ্জা ধমনী রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুহূর্তের তরে।
আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত সেই মানব হিতৈষী গুনীজন হলেন আমার জন্মভূমি বরিশাল এর কীর্তি সন্তান। এমন মানব হিতৈষী সন্তান যে, বর্তমান সময়ে বরিশাল বুকে রয়েছে তা আমি কটাদিন আগে জেনেছি। তাই এমন মানব সন্তানের মানব হিতৈষী কার্যক্রম নিয়ে লেখা আমার সৌভাগ্য হয়েছে এই ভাবনায় আমি আনন্দিত ও কৃতার্থ বরিশাল এর পরোপকারী কীর্তিসন্তান স্বনামধন্য আবৃত্তিকার ও উপস্থাপক ঈসা ভাই এর কাছে…….
চলবে…….
লেখকঃ নাসরিন ইসলাম, কবি ও কথাসাহিত্যিক, আজীবন সদস্য, সফেন ফাউন্ডেশন,ঢাকা-বাংলাদেশ।