বরিশাল সিটিতে বিরোধী দলের উত্তাপ ছড়াচ্ছেন জাপার মেয়রপ্রার্থী তাপস
সোহেল আহমেদঃ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আজ ছিলো প্রথম দিন। প্রতীক পেয়ে এরই মধ্যে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা জোড় প্রচার-প্রচারণায় নেমে পরেছেন। জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস নগরের তিন নং ওয়ার্ড কার্যালয় উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠটানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারনা শুরূ করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রচারণার প্রথম দিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গাজীপুরে সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ডুবন্ত নৌকায় কেউ উঠবেনা, জনগণ নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। বরিশালে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে কোনো ভ’ল সিদ্ধান্ত নেনেনা বলে প্রত্যাশা তাপসের।
এর আগে তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাপার মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইকবাল হোেেসন তাপসের দেয়া বক্তব্যে সরকারের নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দূর্নিতি, বিগত দিনে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধচারণ সাধারণ মানুষদের ব্যপক আকৃষ্ট করেছে বলে মনেকরেন স্থানীয় রাজনৈকি বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বিএনপি এবারের মেয়র নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অনেকইে ভেবেছিলো বরিশালে নির্বাচনী আমেজ বা উত্তাপ থাকবে না। কিন্তু আওয়ামীলীগের নতুন প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর বড় ধরনের শোডাউন, ইসলামী আন্দলোন বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী মূফতী ফয়জুল করিমের শোডাউন, সবশেষ জাতীয় পার্টি মেয়র প্রাথী ইকবাল হোসেন তাপসের পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্ম্দ কাদের ( জিএম কাদের) – কে সাথে নিয়ে স্মরণকালের শোডাউন নগরবাসীর নিকট আলোচণার বেশ খোড়াক জোয়ায়। বিশেষ করে ইকবাল হোসেন তাপসের শোডাউন প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরীকদের মধ্যে ব্যপক আলোচিত ছিলো। এর অন্যতম কারণ ছিলো পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপে ন তা জিএম কাদের-এর বরিশাল আগমন কে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কতৃক নোটিশ প্রদান।
জাপার মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ২০১৮ সালের নির্বাচনে নতুন প্রার্থী হয়েও ভোটের মাঠে সরব ছিলেন। সে নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী বিজয়ী হলেও নানা অনিয়ম অভিযোগ এনে সব প্রার্থীরা আগেভাগে মাঠ ছাড়লেও একমাত্র ইকবাল হোসেন তাপস সাহসের পরিচয় দিয়েছিলোন।
২০১৮ সালের মেয়র নির্বাচণের পর অনেক প্রার্থীকে আর প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও বরিশারে রাজনৈতি মাঠ ছাড়েন নি জাপার এই ত্যাগী নেতা। দলের রাজনৈতিক প্রগাম, মহানগর, জেলা উপজেলার কমিটি গঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে পরীক্ষীত নেতা হিসেবে একদিকে কেন্দ্রে জানান দিয়েছেন অপর দিকে বরিশালের সাধারণ ভোটারদের মাঝে আস্থাভাজন জনদরদী হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন।
বিসিসির নির্বাচণে আধঘাট বেধে প্রচারণায় নেমেছেন তাপসের স্ত্রী ইসমত আরা টুপুরও।নিয়মিত উঠান বৈঠক সহ গণসংযোগ করে নারীদের জনপ্রিয়তা লাভ করছেন। তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহর করা সমালোচনা করে উন্নয়ন বঞ্চিত নাগরীকদের সচেতন করছেন। ইসমত আরা ইকবাল সম্প্রতি তার এক বক্তব্যে বলেন, ভোট ডাকাতদের চিহ্নিত করুন, এবার সবাই মিলে ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেন ইসমত আরা ইকবাল। তার বক্তব্য সরকার বিরোধীদের কাছে ব্যপক প্রশংসা লাভ করে। জাতীয় পার্টির বিগত দিনের সব প্রচার প্রচারণার চেয়ে এবারকার প্রচারণা রাজনৈতিকভাবে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে বলে মনেকরেন বিরোধী রাজনীতীকরা। নির্বচনের দিন পর্যন্ত এরকমের প্রচার প্রচারণা চলতে থাকলে বরিশালের কেন্দ্রগুলোতে ব্যপক ভোটার উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও দলীয় সমর্থীত একাধিক কাউন্সিলর নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে সবাই চাইবেন কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে আসতে।
প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশিষ্ট রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মহসীন উল ইসলাম হাবুল বলেন, আমরা জাতীয় সংসদরে বিরোধী দল। আমাদের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ইকবাল হোনে তাপস এমন একজন ব্যক্তি যার রয়েছে হাজার হাজার কর্মীবাহীনী। এখানে বিএনপির ভোটারবৃন্দ ইকবাল হোসেন তাপস এর ভালোবেসে ভোট দিবেন।