সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুলকে আজও দেয়া হয়নি কোনো স্বীকৃতি ও মর্যাদা - দৈনিক বরিশাল ২৪ দৈনিক বরিশাল ২৪সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুলকে আজও দেয়া হয়নি কোনো স্বীকৃতি ও মর্যাদা - দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রকাশিতঃ ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯ ৬:১৫ অপরাহ্ণ
A- A A+ Print

সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুলকে আজও দেয়া হয়নি কোনো স্বীকৃতি ও মর্যাদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা, আমরা তোমাদের ভুলব না।” বহু ত্যাগ, তিতিক্ষা, আন্দোলন, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভুলতে পারবে না যাদের জন্য আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা।প্রতিরোধ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পদক দেয়া হয়নি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭নং সেক্টরের প্রথম সেক্টর কমান্ডার শহীদ মেজর নাজমুল হককে।আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চত্বরে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কবরের পাশেই চীরনিদ্রায় শায়ীত আছেন শহীদ মেজর নাজমুল হক। তাঁর মৃত্যু দিবসে নেয়া হয়না কর্মসূচি, সমাধিতে পড়ে না পুষ্পস্তবক। সহযোদ্ধাদের দাবি, তাঁকে দেয়া হোক স্বীকৃতি ও মর্যাদা, ইতিহাসে উঠে আসুক তাঁর অবদানের কথা। তাঁর অবদান যেন আমরা ভুলে যাচ্ছি।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও রাষ্ট্রীয় কোনো সহযোগিতা পায়নি তাঁর পরিবার। কেউই খবর রাখেনা পরিবারের। ১৯৩৮ সনের ১ আগস্ট চট্টগ্রামের লোহাগড়ার আমিরাবাদ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন নাজমুল হক টুলু। তৎকালিন জেলা লোয়ার ম্যাজিস্ট্রেট বাবা হাফেজ আহমেদ ও মা জয়নব বেগমের সন্তান নাজমুল হক কুমিল্লার ইশ্বর স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।
ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানের কাকুল একাডেমি থেকে ১৯৬২ সনের ১৪ অক্টোবর কৃতিত্বের সাথে কমিশন লাভ করে এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে অংশ নেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামরিক কর্মকর্তা নাজমুল হককে অবাঙ্গালি কর্মকর্তারা সহ্য করতে না পারার অংশ হিসেবে তাকে সেনাবাহিনী থেকে রাইফেলস্ বাহিনীতে (সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী) বদলি করে পূর্ব পাকিস্তানের নওগাঁ উইং ৭-এ অধিনায়ক করে পাঠানো হয়। তিনি নওগাঁ গিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলে অবাঙ্গালি অধিনায়ক মেজর আকরাম বেগ তাকে দায়িত্ব দিতে অস্বীকার করেন।
মেজর নাজমুল হক নওগাঁর স্বাধীনতাকামী সংগঠকদের ব্যাপারটি অবগত করলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। নওগাঁ উইং-এর বাঙালি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন তিনি। ২৫ মার্চ গণহত্যা তাকে বিদ্রোহী করে তুলে। তিনি উইং এর বাঙ্গালী সহ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ চৌধূরী ও বাঙ্গালী জোয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্রোহ করে নওগাঁ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস উইং-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উড়ান স্বাধীন বাংলার পতাকা।
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী হোসেন মিলন জানান, মেজর নাজমুল হক রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা ও আসপাশের অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রেখে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পরিকল্পনা নেন। বগুড়ায় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে আক্রমণে নেতৃত্ব দেন তিনি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সহকর্মী ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ চৌধূরীকে রাজশাহীতে অ্যাডভান্স করিয়ে তিনি বগুড়ায় অ্যাডভান্স করেন। বগুড়ায় স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ করে ফিরে রাজশাহীর দিকে এ্যাডভান্সের পরিকল্পনা নেন তিনি। এরপর রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও আশপাশের অঞ্চল স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা। এই ক্যান্টনমেন্ট পতনের মুহূর্তে ঢাকা থেকে আসা পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণে সমগ্র উত্তারাঞ্চল ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়। মেজর নাজমুল হক প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। অস্ত্র সংকটের সুযোগে আক্রমণকারী পাকিস্তানি সেনারা উওরাঞ্চল দখল করে নিলে তিনি সীমান্ত অঞ্চলে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ।
সঙ্গীদের নিয়ে সীমান্ত পার হন। মুক্তিবাহিনী গঠন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখেন। রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও দিনাজপুরের কিছু আংশ নিয়ে গঠন করা হয় ৭ নং সেক্টর। তাকে এই সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার করা হয় বলে জানা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর, ভোলাহাট অঞ্চলে অপারেশনে নেতৃত্ব দেন তিনি।
২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত যৌথবাহিনীর একটি বৈঠক শেষে ভারতের তৎকালীন পশ্চিম দিনাজপুরের শিলিগুড়ি বাগডোগরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতে ফেরার সময় ইসলামপুরে গাছের সাথে গাড়ি ধাক্কা লেগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন এই বীর যোদ্ধা। তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় শিবগঞ্জের ঐতিহাসিক সোনামসজিদ চত্বরে। এখানেই তাকে দাফন করা হয়। সাহসী, রণকৌশলী, সদালাপি মেজর নাজমুল হক সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন। প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। দিতেন উৎসাহ অনুপ্রেরণা।
মেজর নাজমুল হকের মৃত্যুর পর ৭ নং সেক্টরের দায়িত্ব নেন সুবেদার মেজর এম.এ রব। পরে লেফটেনেন্ট কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান। মেজর নাজমুল হক মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাঁকে দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মাননা পদক। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ইতিহাস লেখা হলেও সেখানে তাঁর অবদানের কথা নাই বললেই চলে। তাঁর মৃত্যু দিবসেও নেয়া হয়না কোন কর্মসূচি। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, মেজর নাজমুল হককে দেয়া হোক যথাযোগ্য স্বীকৃতি ও মর্যাদা। নতুন প্রযন্ম ও ইতিহাসে তুলে ধরা হোক তাঁর অবদানের কথা এটাই প্রত্যাশা সকলের।-কপোত নবী।
দৈনিক বরিশাল ২৪

সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুলকে আজও দেয়া হয়নি কোনো স্বীকৃতি ও মর্যাদা

সোমবার, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯ ৬:১৫ অপরাহ্ণ | আপডেটঃ ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯ ৬:১৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা, আমরা তোমাদের ভুলব না।” বহু ত্যাগ, তিতিক্ষা, আন্দোলন, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভুলতে পারবে না যাদের জন্য আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা।প্রতিরোধ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পদক দেয়া হয়নি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭নং সেক্টরের প্রথম সেক্টর কমান্ডার শহীদ মেজর নাজমুল হককে।আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চত্বরে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কবরের পাশেই চীরনিদ্রায় শায়ীত আছেন শহীদ মেজর নাজমুল হক। তাঁর মৃত্যু দিবসে নেয়া হয়না কর্মসূচি, সমাধিতে পড়ে না পুষ্পস্তবক। সহযোদ্ধাদের দাবি, তাঁকে দেয়া হোক স্বীকৃতি ও মর্যাদা, ইতিহাসে উঠে আসুক তাঁর অবদানের কথা। তাঁর অবদান যেন আমরা ভুলে যাচ্ছি।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও রাষ্ট্রীয় কোনো সহযোগিতা পায়নি তাঁর পরিবার। কেউই খবর রাখেনা পরিবারের। ১৯৩৮ সনের ১ আগস্ট চট্টগ্রামের লোহাগড়ার আমিরাবাদ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন নাজমুল হক টুলু। তৎকালিন জেলা লোয়ার ম্যাজিস্ট্রেট বাবা হাফেজ আহমেদ ও মা জয়নব বেগমের সন্তান নাজমুল হক কুমিল্লার ইশ্বর স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।
ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানের কাকুল একাডেমি থেকে ১৯৬২ সনের ১৪ অক্টোবর কৃতিত্বের সাথে কমিশন লাভ করে এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে অংশ নেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামরিক কর্মকর্তা নাজমুল হককে অবাঙ্গালি কর্মকর্তারা সহ্য করতে না পারার অংশ হিসেবে তাকে সেনাবাহিনী থেকে রাইফেলস্ বাহিনীতে (সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী) বদলি করে পূর্ব পাকিস্তানের নওগাঁ উইং ৭-এ অধিনায়ক করে পাঠানো হয়। তিনি নওগাঁ গিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলে অবাঙ্গালি অধিনায়ক মেজর আকরাম বেগ তাকে দায়িত্ব দিতে অস্বীকার করেন।
মেজর নাজমুল হক নওগাঁর স্বাধীনতাকামী সংগঠকদের ব্যাপারটি অবগত করলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। নওগাঁ উইং-এর বাঙালি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন তিনি। ২৫ মার্চ গণহত্যা তাকে বিদ্রোহী করে তুলে। তিনি উইং এর বাঙ্গালী সহ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ চৌধূরী ও বাঙ্গালী জোয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্রোহ করে নওগাঁ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস উইং-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উড়ান স্বাধীন বাংলার পতাকা।
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী হোসেন মিলন জানান, মেজর নাজমুল হক রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা ও আসপাশের অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রেখে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পরিকল্পনা নেন। বগুড়ায় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে আক্রমণে নেতৃত্ব দেন তিনি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সহকর্মী ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ চৌধূরীকে রাজশাহীতে অ্যাডভান্স করিয়ে তিনি বগুড়ায় অ্যাডভান্স করেন। বগুড়ায় স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ করে ফিরে রাজশাহীর দিকে এ্যাডভান্সের পরিকল্পনা নেন তিনি। এরপর রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও আশপাশের অঞ্চল স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা। এই ক্যান্টনমেন্ট পতনের মুহূর্তে ঢাকা থেকে আসা পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণে সমগ্র উত্তারাঞ্চল ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়। মেজর নাজমুল হক প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। অস্ত্র সংকটের সুযোগে আক্রমণকারী পাকিস্তানি সেনারা উওরাঞ্চল দখল করে নিলে তিনি সীমান্ত অঞ্চলে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ।
সঙ্গীদের নিয়ে সীমান্ত পার হন। মুক্তিবাহিনী গঠন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখেন। রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও দিনাজপুরের কিছু আংশ নিয়ে গঠন করা হয় ৭ নং সেক্টর। তাকে এই সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার করা হয় বলে জানা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর, ভোলাহাট অঞ্চলে অপারেশনে নেতৃত্ব দেন তিনি।
২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত যৌথবাহিনীর একটি বৈঠক শেষে ভারতের তৎকালীন পশ্চিম দিনাজপুরের শিলিগুড়ি বাগডোগরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতে ফেরার সময় ইসলামপুরে গাছের সাথে গাড়ি ধাক্কা লেগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন এই বীর যোদ্ধা। তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় শিবগঞ্জের ঐতিহাসিক সোনামসজিদ চত্বরে। এখানেই তাকে দাফন করা হয়। সাহসী, রণকৌশলী, সদালাপি মেজর নাজমুল হক সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন। প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। দিতেন উৎসাহ অনুপ্রেরণা।
মেজর নাজমুল হকের মৃত্যুর পর ৭ নং সেক্টরের দায়িত্ব নেন সুবেদার মেজর এম.এ রব। পরে লেফটেনেন্ট কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান। মেজর নাজমুল হক মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাঁকে দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মাননা পদক। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ইতিহাস লেখা হলেও সেখানে তাঁর অবদানের কথা নাই বললেই চলে। তাঁর মৃত্যু দিবসেও নেয়া হয়না কোন কর্মসূচি। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, মেজর নাজমুল হককে দেয়া হোক যথাযোগ্য স্বীকৃতি ও মর্যাদা। নতুন প্রযন্ম ও ইতিহাসে তুলে ধরা হোক তাঁর অবদানের কথা এটাই প্রত্যাশা সকলের।-কপোত নবী।
প্রকাশক: মোসাম্মাৎ মনোয়ারা বেগম। সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা। সম্পাদক : শামিম আহমেদ যুগ্ন-সম্পাদক : মো:মনিরুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টা: মোসাম্মৎ তাহমিনা খান বার্তা সম্পাদক : মো: শহিদুল ইসলাম ।
প্রধান কার্যালয় : রশিদ প্লাজা,৪র্থ তলা,সদর রোড,বরিশাল।
সম্পাদক: 01711970223 বার্তা বিভাগ: 01764- 631157
ইমেল: sohelahamed2447@gmail.com
  কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে বরিশাল, ৭ জনের প্রাণহানি   ইপিজেড শিল্পাঞ্চলের আয়োজন, শতাধিক পরিবারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ   কমতে পারে ছুটি, শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত   লাইমলাইট গ্রামার স্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন   ঈশ্বরদীতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ   আমেরিকায় জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়ল সেতু, বহু হতাহতের শঙ্কা   ইপিজেড স্মার্ট শিল্পাঞ্চল, চট্টগ্রাম এর স্বাধীনতা দিবসের আলোচানা সভা অনুষ্ঠিত   হালিশহর মডেল স্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চোখের সামনে অঙ্গার হলো তরতাজা প্রাণ   বরিশাল বিভাগীয় সমিতি, চট্টগ্রাম-এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত   অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বরিশাল বিভাগীয় সমিতিঃ জাকির হোসেন   হালিশহর মডেল স্কুলের নতুন সভাপতি মোহাম্মাদ হোসেন, আশরাফ আলী সম্পাদক নির্বাচিত   বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতির মৃত্যুতে বরিশাল বিভাগীয় সমিতি, চট্টগ্রাম এর শোক প্রকাশ   কাজী বাবুল আর নেই, শোকে স্তব্ধ বরিশালের মিডিয়া অঙ্গন   জীবনকে বদলে দেওয়া এক গুণী মানুষকে যেভাবে হাড়িয়ে ফেললাম   যুগান্তর পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো রিপোর্টার হলেন সাংবাদিক এস এন পলাশ   কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে বরিশাল বিভাগীয় সমিতি‘র (ইপিজেড শিল্পাঞ্চল) এর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত   বরিশালের মামুনের সফলতা হতে পারে অনেকের অনুপ্রেরণাঃ তাপস   ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত   নিউমুরিং এর মরহুম আবদুস সবুর সওঃ এবাদত খানার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত