নবীগঞ্জে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, প্রেসক্লাবের নিন্দা প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য বাংলা টিভির নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্নাকে চিঠির মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নবীগঞ্জের প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যলয়ে জরুরী নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করা হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি সওরয়ার শিকাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন অর্থ সম্পাদক আকিকুর রহমান সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, ফখরুল আহসান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন মিঠু, নির্বাহী সদস্য শাহ সুলতান, অলিউর রহমান অলি, ও মতিউর রহমান মুন্না।
গত বুধবার সকালে দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের কার্যালয়ে হুমকি সংক্রান্তÍ একটি চিঠি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্না বুধবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
সভায় ব্যক্তরা বলেন, সাংবাদিক পেশায় জড়িত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে আসছেন সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্না। এর আগেও তাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল দুর্বৃত্তরা। থানায় জিডিও রয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা সাংবাদিক মুন্নার কর্মস্থল দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার অফিসে তার নামে একটি চিঠি রেখে যায়। বুধবার সকালে দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের কার্যালয়ে হুমকি সংক্রান্ত এই চিঠি পাওয়া যায়। সাংবাদিক মুন্না গত বুধবার বিকেল অনুমান ৫ টার দিকে অফিসে এসে চিঠিটি খুলে দেখেন চিঠিতে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।
হুমকি দেয়া চিঠিতে লেখা ছিল- ‘সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্নাকে একটি কথা বলতে চাই, তোর ভালোর জন্য বলছি সাংবাদিকতা ছেড়ে দে, সাংবাদিকতা না ছাড়লে তুই বেশি দিন বাঁচতে পারবিনা, তুই কার বিরুদ্ধে লেখালেখি করিছ বুঝতে পারিছ নি। তোর থেকে অনেক বড় বড় সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করছে। তুইতো হইলে চুনোপুটি। এখনো সময় আছে আমার পিছনে আর লাগবিনা। আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি করে কিছুই করতে পারছনি, পুলিশ কি আমায় বা আমার কিছু ছিড়তে পারছে? শুন টাকা থাকলে পুলিশদের মত বড় বড় অফিসারদের কেনা যায়। এখনো সময় আছে আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি বন্ধ কর। নয়তোবা তোর অবস্থাও সাংবাদিক জুনাইদের মতো হবে। তোর হাত পা কেটে টুকরো টুকরো করে বস্তা বন্দি করে পাহাড়ে রেখে আসবো। তোর পরিবারের সদস্যদের কথা মাথায় রাখিস। উপরের কথাগুলো মাথায় রাখবি এবং এই চিঠি যদি থানায় দেখাস তে তোর বড় ধরনের ক্ষতি হবে। যা ভাবতেও পারবিনা। ইতি তোর আজরাইল’
এছাড়াও অশীল ভাষায় বিভিন্ন গালিও লেখা ছিল চিঠিতে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। সভায় নিন্দা প্রস্তাব এনে ব্যক্তরা আরো বলেন এ ঘটনায় সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।