ভালোবাসা অটুট থাকুক মানুষের কল্যাণে,মুছে যাক হিংসা প্রতিহিংসা
মনিরুজ্জামানঃ ভালোবাসা মানে নীল প্রজাপতি, ভালোবাসা মানে হারমানা ক্ষতি, ভালোবাসা মানে উষ্নসুখের বরফ গলা নদী। ভালেঅবাসার গানের এ কথাগুলো কন্ঠশিল্পী আসিফ এর গানেই মানায়। বাস্তবে ঘটে এর উল্টো। ভালোবাসায় যারা পতিত হয়েছে তারা কেবলই নির্মমতা বুঝতে পারে। পাঠকের সার্থে লেখকের ভাষায় ভালোবাসা হলো এমন একটি অদৃশ্য ছোয়া, যা চাইলেই যেমন পাওয়া যায়না, তেমনই পেলেও তা সহজেই ধরে রাখা যায় না।
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রতিবছর তরুণ-তরুণসহ নানা বয়সের মানুষ তাদের পরিচিতজনদের সাথে সুখদু:খ বিনীময় করে থাকে। উপলক্ষে এ দিনে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু যে দিবসে মানুষের এতো আয়োজন তাদের অনেকেই জানেনা এর ইতিহাস। প্রিয়জনদের নিয়ে সারাদিন আড্ডা গল্পে কেটে যায় তাদের বিশেষ একটি দিন।
ইতিহাস থেকে যতদুর জানাযায়, ২৬৯ খৃষ্ঠাব্দে ১৪ই ফেব্রুয়ারী রচিত হয় ভালেঅবাসার অমর গাথা ইতিহাস। ইতালির রোম নগরে আজকের এই দিনে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে এজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। রাষ্টে নিশেধ অমান্য করে তিনি প্রেমিক প্রেমিকদের বিবাহ পড়ানো সম্পন্ন করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোমান সম্রাট তাকে বন্দি করেন। সেখানে বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি একজন কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুষ্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বহুগুনে বেড়ে যায়। তার প্রতি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রাজা তাকে ফাশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেন। সেদিন থেকে পোপ জেলাসিউস আজকের এ দিনকে ভ্যালেন্টাইন-ডে হিসেবে ঘোষনা করেন।
তখন থেকেই বিশ্বব্যপী এদিন ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। স্ত্রীকে ভালোবেসে ইতিহাস গড়েছেন ভারতের সম্রাট শাজাহান। গড়েছেন লাইলি মজনু শিরি ফরহাদ। ইতিহাস রচিত হচ্ছে আমাদের দেশেও। নানা অপসংস্কতিতে আমাদের দেশে ভালোবাসার দিবসটিতে প্রায় ঘটছে অপ্রত্যাসিত কোন অঘটন। সামাজিক অবক্ষয়ে এর প্রভাবে বাড়ছে বাল্য বিবাহ। কয়েক দিনের ব্যাবধানে সুখেল সংসারে নেমে আসছে অমানবিক বিপর্যয় ।
বিস্তারিত আসছে………………….