যশোরে হোম কোয়ারেন্টইন ভেঙ্গে হাট বাজারে হাজার হাজার মানুষ
ফারুক হাসান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌরসভার বাসিন্দারা হোম
কোরেন্টাইনের নিয়ম ভেঙ্গে বাজার ঘাটে অবাদে চলাচল করছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে বার বার ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করা হলেও কোন বিধি নিষেধ মানছে না।স্থানীয় জন সাধারন।ফলে এ অঞ্চালে করোনা ঝুকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস।
এতে আক্রান্ত হয়ে প্রান হারিয়েছেন ৫জন।আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ মানুষ। এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও সামাজিক দূরত্ব রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একারণে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি সাধারণ ছুটি বলা হয়েছে, ছুটির দিনগুলোতে অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া ও জনসমাগম
এড়িয়ে চলার জন্যে। কিন্তু ছুটির সপ্তম দিনেই দেখা গেল সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই হাট বাজারে হাজারো মানুষের ভিড়।
শার্শাউপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, চাকুরীজীবীদের অফিস বন্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তবুও তারাই বেশি বের হয়েছেন রাস্তায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত কয়েক দিন বাসায় থেকে থেকে বিরক্তি লেগে গেছে তাদের। তাই তারা বাজারে এসেছেন।
তবে তারা এটাও মানছেন, এই পরিস্থিতিতে বের হওয়া ঠিক হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী এখলাছ মোল্লা বলেন, গত কয়েকদিন ঘরে থেকে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিরক্তি কাটাতে বন্ধুদের সাথে দেখা করেত বাজারে এসেছেন।
সাধারন ছুটির প্রথম দুইদিন বেনাপোল বাজারে ভ্যান,রিক্সা,ইজিবাইক কম চলাচল করলেও দিন যত গড়াচ্ছে রাস্তায় সব ধরনের যানবাহনের সংখ্যা তত বাড়চ্ছে।আর বাজারে বাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘ ছুটির কারনে সাধারন মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের ভয় তো নেই বরং উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।মহল্লার
মোড়ে মোড়ে সাধারন মানুষের জটলা। তাদের আলোচনার ক্ষুরাক আবার করোনা ভাইরাস। এ ব্যপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী আফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন ,শার্শা উপজেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী,পুলিশ,ব্যবসায়ী
নেতাদের সাথে রাত-দিন বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে।করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে উপজেলা জুড়ে মাইকিং করছে। কিন্তু সাধারন মানুষ কোন কিছুতেই কর্ণপাত করছেনা।